• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১-১২-২০২৪, সময়ঃ রাত ০৮:১৮

গাইবান্ধায় অর্থনৈতিক শুমারির প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন



নিজস্ব প্রতিবেদক►

গাইবান্ধায় অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ এর চূড়ান্ত তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আজ (রবিবার, ১ ডিসেম্বর) শহরের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।

জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণে উপজেলা শুমারি সমন্বয়কারী, জোনাল অফিসার ও আইটি সুপারভাইজাররা এতে অংশ নেন। 

প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) এহসানুল হক। প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এনামুল হক।

উপস্থাপনায় দেখানো হয় যে, অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৩ প্রকল্প পরিচিতি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, শুমারির তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি, শুমারিতে নিয়োজিত জনবল, শুমারির প্রচার কার্যক্রম ইত্যাদি। উপস্থাপনায় জানানো হয়, আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত  ১৫  দিনব্যাপী (১৬ ও ২৫ ডিসেম্বর ব্যতীত) সারা দেশের মতো গাইবান্ধা জেলায় একযোগে তথ্য সংগ্রহ চলবে। গাইবান্ধা জেলায় দুইজন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী,  ৪৫ জন জোনাল অফিসার, ৫ জন উপজেলা শুমারি  সমন্বয়কারী, ৪৫ জন আইটি সুপারভাইজার, একজন জেলা আইটি  সুপারভাইজার, ১৪৯৫ জন গণনাকারি এবং ২৮৫ জন সুপারভাইজারসহ মোট ১৮৭৫ শুমারিকর্মী এ কাজে  দায়িত্ব পালন করবেন।   

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, গণনাকারিগণ যাতে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন সেদিকে জোনাল অফিসারদের খেয়াল রাখতে হবে। তিনি জোনাল অফিসারদের আরও বলেন, গণনাকারী এবং সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণ যথাযথভাবে প্রদান করতে হবে এবং একই সাথে মাঠ পর্যায়ে গণনাকারিগণ কর্তৃক সংগৃহীত তথ্যের গুণগত মান যাচাই বাছাই করতে হবে। সংগৃহীত তথ্যের গুণগত মান ভালো হলে তা দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় যথাযথভাবে ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও তিনি তথ্য-উপাত্তের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন। 

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য শেষে তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে বিশেষ অতিথি হিসেবে ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) শাহ মোঃ এহসানুল হক এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের সহকারি পরিসংখ্যান কর্মকর্তা আবুল ফজল মন্ডলও বক্তব্য প্রদান করেন।