- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ৭-১-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:১৫
গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষন
ভবতোষ রায় মনা ►
গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে হেরে জাতীয় পার্টিও নেতাকর্মীরা হতাশ। ফুলছড়ি-সাঘাটা একসময় জাতীয় পার্টির ঘাঁটিতে থাকলেও অ্যাডভোকটে ফজলে রাব্বী মিয়া ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার পর নৌকা প্রতীক টানা আসনটি ধরে রাখে। ফজলে রাব্বী মিয়া মারা যাওয়ার পর উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হন ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন। গত বুধবারের ভোটে তাকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন ভোটাররা।
জানা যায়, রওশন এরশাদও এই আসনে এমপি ছিলেন। পরে ফজলে রাব্বির কাছে হেরে তিনি আর এ এলাকায় যাযনি। তখন থেকে ভোটারা জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেন। তবে জাতীয় পার্টির দুর্গ হিসেবে অ্যাডভোকেট গোলাম শহীদ রঞ্জু সাঘাটার উপজেলা চেয়ারম্যান হন দু‘বার। পওে এরশাদের মৃত্যুর পর এই আসনে জাপার অবস্থা খারাপের দিকে হতে থাকে। সেই থেকেই আওয়ামী লীগের হয়ে ছাত্রনেতা মাহমুদ হাসান রিপন মাঠে দলকে সংগঠিত করার চেষ্টা করতে থাকেন। নিজে নৌকার মনোনয়ন না পেলেও হাল ছাড়েননি অনেক আগে থেকেই। ফলে জাতীয় পার্টিও দুর্গেও রিপনের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে।
সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী এলাকার জাতীয় পার্টির সমর্থক অলিউর রহমান অলিপ জানান, জাতীয় পার্টির হারার একটাই কারণ। গ্রুপিংয়ের কারণে জাতীয় পার্টির আজ ভরাডুবি হয়েছে। ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, ‘ভোটাররা এবার নতুন মুখ দেখে ভোট দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে মাহামুদ হাসান রিপন বলেন, আমার নয়, এটা ফুলছড়ি-সাঘাটা উপজেলাবাসীর বিজয়। এখানে লাঙ্গলের ভরাডুবি হয়েছে। মানুষ নৌকাতেই আস্থা রেখেছে।
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ এইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু বলেন, ‘মতাসীন দলীয় প্রার্থীর লোকজন ভোটের আগের দিন রাতে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাাৎ করেছেন। বিষয়টি আমার কাছে ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বরাবরই আমি নেতিবাচক মন্তব্য করে আসছিলাম। মানুষের মধ্যেও ইভিএমের প্রতি কোনো আস্থা নেই। এই মেশিনে ভোটের আসল ফল আসবে কিনা, সেটা নিয়েও এক ধরনের শঙ্কা রয়েছিল, তা-ই হয়েছে।
গাইবান্ধা-৫ আসনে মোট ভোটার ৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৭ শত ৪৩ জন। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ২ লক্ষ ২৫ হাজার ৭০ জন এবং ফুলছড়ি উপজেলার ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৬শত ৭৬ জন।