• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৮-১২-২০২২, সময়ঃ বিকাল ০৩:৫৯

গাইবান্ধা সরকারি কলেজের পাঁচতলা ছাত্রাবাসটি দু’বছর আগে নির্মিত হলেও কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি



নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গাইবান্ধা সরকারি কলেজের পাঁচতলা ছাত্রাবাসটি দু’বছর আগে নির্মিত হলেও তা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। ফলে জেলার বাইরে থেকে আসা ছাত্ররা নানা দুর্ভোগের মধ্যে বিভিন্ন মেসে থেকে লেখাপড়া করতে বাধ্য হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ছাত্রাবাসটি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে বার বার তাগিদ দিয়েও কোন সুরাহা হয়নি।

২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে পূর্বের একতলা ছাত্রাবাসটি ভেঙ্গে পাঁচতলা ছাত্রাবাস নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। ঠিকাদার ঢিমে তালে দীর্ঘদিন ধরে এই ছাত্রাবাসটি নির্মাণে সময়ক্ষেপন করেন। সেসময় এই ভবনটি নির্মাণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভবনটি নির্মাণে প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। কাজে ঢিমে তালের কারণে ওই দপ্তর ঠিকাদারকে একাধিকবার শোকজ করলেও ঠিকাদার গায়ে মাখেনি। কিন্তু শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ দীর্ঘদিন ধরে কাজ ফেলে রাখায় তাকে কারণ দর্শাও নোটিশ দিলেও কার্যাদেশ বাতিল করেনি। ফলে ঠিকাদার তার নিজের মত করে কাজ করতে থাকেন এবং ২০১৯-২০২০ সালে ভবনটি নির্মাণের কাজ শেষ করেন। কিন্তু গত দু’বছরেও বিদ্যুতায়নের কাজ না করায় ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভবনটি এখন আশেপাশের লোকজনের অসমাজিক কর্মকান্ড এবং নেশাখোরদের আড্ডা খানায় পরিণত হয়েছে।

এব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. খলিলুর রহমান জানান, জেলার বাইরে থেকে আসা আমাদের ছাত্ররা বিভিন্ন মেসে নানা দুর্ভোগের মধ্যে পড়াশোনা করছে। অথচ ওই ভবনটি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগকে বার বার তাগিদ দিয়েও কোন সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের গাইবান্ধা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. বেলাল আহমেদ জানান, ভবনটি যাতে দ্রুত হস্তান্তর করা যায় সেব্যাপারে ঠিকাদারকে তাগিদ দেয়া হচ্ছে।