- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২৮-৬-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:৫২
গাইবান্ধা মর্ডান হাইস্কুল এ পশুর হাটেই চামড়ার অপচয় রোধে ও গরুর ক্ষুদা নিবারনে লবণ বিক্রি
নিজস্ব প্রতিবেদক ►
আজ রাত পেরোলেই কাল পবিত্র ঈদ উল আযহা। এ উপলক্ষে গাইবান্ধা শহরের এন,এইচ মডার্ন হাই স্কুল মাঠে বসানো হয়েছে ঐতিহ্যবাহী গরু ও মহিষ ক্রয়ের স্থান মহিষ বাতান হাট। এ পয়েন্টে কোরবানির পশুর চামড়ার অপচয় রোধে ও গরুর ক্ষুদা নিবারনে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে লবণ।
প্রশাসনের এমন উদ্যোগে সাড়া দিয়ে গরুর হাট শুরুর দিন থেকে পশুর সঙ্গে সঙ্গে লবণও কিনেছেন অনেক ক্রেতা। কোরবানির পশুর চামড়ার অপচয় রোধ করতে গাইবান্ধায় কোরবানির পশুর হাটে সুলভ মূল্যে লবণ বিক্রির বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
গাইবান্ধা শহরের এন এইচ মডার্ন হাই স্কুল মাঠে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফুল আলম।
তিনি জানান, জবাইকৃত পশুর চামড়া রাষ্ট্রীয় সম্পদ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার পশুর চামড়া ঢাকার ট্যানারি কারখানাগুলোতে পৌঁছাতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যায়। অনেক সময় সঠিকভাবে সংরক্ষণ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করার কারণে অনেক চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এতে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হয়। তাই গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন নির্দেশনায় জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন চামড়া সংরক্ষণে এই বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।" এতে করে গরুর হাটে গরু বিক্রির পাশাপাশি লবণ বিক্রয়ের জন্য পয়েন্ট করা হয়েছে। এই পয়েন্ট থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে লবণ বিক্রি করা হচ্ছে। এ ছাড়া গরু ও মহিষ ক্রয় করতে যারা আসছেন তাদেরকে গরু ও মহিষ চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণ কিনতে উদ্ধুদ্ধ করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এই কর্মসূচি সফল করতে চামড়া ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, বাজারের ইজারাদার ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সভা করা হয়েছে। প্রশাসনের এমন উদ্যোগে সাড়া দিয়ে শুরুর দিনই চামড়া সাময়িকভাবে সংরক্ষণের জন্য পশুর সঙ্গে সঙ্গে লবণও কিনতে দেখা গেছে অনেক ক্রেতাকে।
কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা হলে তারা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এভাবে আগে কখনো চামড়ার জন্য লবণ কেনা হয়নি। ফলে হঠাৎ যদি প্রয়োজন হয়, তখন না পেয়ে দুর্ভোগে পড়তেন। এখন হাতের কাছে পেয়ে সুলভে ও সহজে নিয়ে যাচ্ছেন তাতে আর ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না।
গাইবান্ধা এনএইচ মডার্ন হাই স্কুল মাঠের মহিষ বাতান হাট এর ইজারাদার আরিফ মিয়া রিজু বলেন, "অনেক সময় লবণ সংকটে কোরবানির পশুর চামড়া নষ্ট হয়। প্রশাসনের এই উদ্যোগের ফলে চামড়ার মতো মূল্যবান সম্পদের অপচয় কমাতে ও গরুর খাদ্য হিসেবে আমরা পশুর পাশাপাশি লবণ বিক্রি করছি। সে সাথে বেপারীদের যাতে অসুবিধা না হয় সে জন্য তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
অন্যদিকে সুমন নামে এক ক্রেতার সাথে কথা বললে তিনি জানান- গত বারের চেয়ে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বেশি। গতবার যে গরু ১লক্ষ ৩০ হাজার দিয়ে কিনেছি, সেটা এবার ১লক্ষ ৫০ হাজার দিয়ে ক্রয় করলাম।