- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১৭-৫-২০২৫, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
গাইবান্ধা পৌরসভার বাজেট পর্যালোচনা ও প্রাক-বাজেট সভা
প্রেস বিজ্ঞপ্তি►
গাইবান্ধা পৌরসভার চলতি অর্থ বছরের বাজেট বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও ২০২৫-’২৬ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। “Rising for Rights for Strengthening Civil Society Network to Achieve SDG 6 Project” প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় আজ ১৭ মে ২০২৫ পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে পৌর প্রশাসক এ.কে.এম. হেদায়েতুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আব্দুল হানিফ সরদার বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও প্রাক-বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেট অগ্রগতি পর্যালোচনায় তিনি বলেন, ২০২৪-’২৫ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন খাতে ১০,১৫১,৪১৪ টাকা বাজেট ধরা হলেও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশনের কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন কমিউনিটির প্রতিবেদন, কমিউনিটির চাহিদা এবং জনস্বার্থ বিবেচনায় ১৩,৪২০,০০০ টাকা সম্পূরক বাজেট হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ২০২৫-’২৬ অর্থ বছরে এই বাজেট ১৩,৯২০,০০০ টাকায় উন্নীত করে খসড়া প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। এছাড়াও ২০২৪-’২৫ অর্থ বছরে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ১৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দের স্থলে ৫,০০০,০০০ টাকার সম্পূরক বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে এবং ২০২৫-’২৬ অর্থ বছরে এ খাতে ২,০০০,০০০ টাকার খসড়া বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে পৌর প্রশাসক বলেন, “বর্তমান অর্থবছরের বাজেট ব্যয়ের অগ্রগতি সন্তোষজনক। আগামী ২০২৫-’২৬ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন খাতের বাজেট বরাদ্দ যাতে বৃদ্ধি পায় সেদিকে বিশেষ নজর দেয়া হবে।” পাশাপাশি তিনি পৌরসভার বকেয়া ট্যাক্স আদায়সহ আয়ের উৎস তৈরি ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, পৌসভার প্রদান নিার্বহী কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, পৌরসভার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ, নারী ফোরাম সদ্দস্য, ইয়থ ফোরাম সদস্য এবং ছিন্নমূল মহিলা সমিতির পরিচালকসহ এসকেএস ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক, ও ইএসডিও এর প্রতিনিধিগণ।
সভা শেষে ২০২৫-’২৬ অর্থবছরের বাজেটে ওয়াশখাত (পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন) নির্দিষ্টকরণসহ ৫ দফা দাবিতে পৌরসভার প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। নারী ফোরাম সভাপতি বেগম সুলতানা-ই-নূর শাহী’র নেতৃত্বে নারী ফোরাম সদস্যগণ পৌর প্রশাসকের নিকট এই স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।
দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে:
১. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে স্যানিটেশন খাত সুনির্দিষ্ট ও পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দকরণ (কমপক্ষে মোট বাজেটের ১০%);
২. পাবলিক টয়লেটগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণসহ প্রতিবন্ধী ও নারীদের ব্যবহার উপযোগিকরণ;
৩. মেরামতযোগ্য কমিউনিটি টয়লেট সংস্কার ও পরিত্যক্ত কমিউনিটি টয়লেট অপসারণে ব্যবস্থা গ্রহণ;
৪. ড্রেনের সাথে সংযুক্ত ল্যাট্রিনের সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন;
৫. প্রান্তিক ও অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন বিতরণ/স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ।