• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২১-৮-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৪:১১

গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে গাইবান্ধায় মানববন্ধন



নিজস্ব প্রতিবেদক►

দেশের শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া হাউস ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং এতে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন হয়েছে।

আজ (সোমবার, ২১ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ, গাইবান্ধার ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে জেলায় কর্মরত সাংবাদিক এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি এতে সংহতি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আগস্ট বিপ্লবে ছাত্র-জনতার শাহাদাত বরণের মধ্য দিয়ে এক নতুন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। পরাজিত শক্তি বিপ্লবের সুফলকে নস্যাৎ করতে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। গণমাধ্যমকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও শিক্ষার্থীরাসহ এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বক্তারা ঘটনার সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ দাশ হিমুনের সভাপতিত্বে এবং সংস্কৃতিকর্মী শিরিন আকতারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মেহেদী হাসান, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মৈত্রেয় হাসান জয়িতা এবং জেলা মটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর তুহিন। এছাড়াও এটিএন নিউজ ও এটিএন বাংলার জেলা প্রতিনিধি ইদ্রিসউজ্জামান মোনা, সাংবাদিক রেজাউন্নবী রাজু, সাপ্তাহিক চলমান জবাবের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রজতকান্তি বর্মন, এখন টিভির বগুড়া ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি কায়সার রহমান রোমেল, ঢাকা টাইমসের জাভেদ হোসেন, নিউজ টুয়েন্টিফোর টিভির সাইফুল ইসলাম প্রিন্স, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাইফুল মিলন এবং বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোরের মোমেনুর রশিদ সাগর প্রমুখ। 

এর আগে, গেল সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে আকস্মিকভাবে একদল দুর্বৃত্ত হকিস্টিকসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ কমপ্লেক্সে হামলা চালায়। ২০-২৫টি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। এ ছাড়া ভবনের কাচের দেয়াল ও দরজা ভেঙে ফেলা হয়। গোটা মিডিয়া হাউসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে কেউ হতাহত না হলেও ভবন ও মিডিয়া প্রাঙ্গণে থাকা গাড়িগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটিতে রেডিও, টেলিভিশন, পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমের ৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।