• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩১-৫-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:২০

কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া স্পর্শ করেনি রাণীনগরের হাটগুলোতে



আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ ►

নওগাঁর রাণীনগরের ঐতিহ্যবাহী ত্রিমোহনীহাট, আবাদপুকুরহাট ও কালীবাড়িহাট থেকে প্রতিবছর সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করলেও দুই দশকেও আধুনিকতার কোন ছোঁয়া স্পর্শ করেনি হাটগুলোতে। অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন না হওয়ার কারণে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগের মধ্যেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাটে এসে প্রয়োজন মিটাতে হচ্ছে।   

জেলার অন্যতম ধানের হাট হিসেবে পরিচিত আবাদপুকুর হাট, মাদুর-ধানের জন্য অন্যতম ত্রিমোহনী হাট আর সবজির জন্য প্রসিদ্ধ শতবছরের কালীবাড়ি হাট। দীর্ঘদিন যাবত এই প্রধান হাটগুলোসহ অন্যান্য ছোট ছোট হাট ও বাজারগুলোর আধুনিকায়ন বিশেষ করে হাটুরীদের বসার শেড ও শেডের ছাউনীর টিন নষ্ট হয়ে গেছে আবার কোন শেডের উপরের টিনও নেই। এছাড়া হাটের আঙ্গিনা নিচু হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে হাটু পানি ও কাঁদার মধ্য সবাইকে হাট ও বাজার করতে হয়। 

অথচ প্রতি বছর সরকার এই হাটগুলো থেকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব হিসেবে আয় করছে। সরকারি বিধি মোতাবেক আদায়কৃত রাজস্ব থেকে শতকরা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে প্রতিবছর হাটগুলোর মেরামত কিংবা সংস্কার করার কথা থাকলেও কোন হাটে ১০ বছর, কোন হাটে ৮বছর পর্যন্ত সেই বরাদ্দকৃত অর্থ ছাড় দেয়নি উপজেলা প্রশাসন। এতে করে হাট মেরামত কিংবা সংস্কারের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত কোটি কোটি টাকার কোন হদিস নেই। 

উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম একটি হাট ত্রিমোহনী হাট। বর্তমানে এই হাটের একটি শেডের চারভাগের তিনভাগে নেই কোন টিনের ছাউনী। আবার যেটুকু অংশে টিনের ছাউনী আছে সেই টিনগুলোও মরিচা ধরে সিংহভাগই ফুটো ফুটো হয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়েই শুষ্ক মৌসুমে প্রচন্ড রোদ আর বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির মধ্যেই হাট করতে হচ্ছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের। অথচ প্রতি হাটে এই শেডগুলোতে বসলে প্রতিজন দোকানীদের ৪০টাকা করে খাজনা দিতে হয়।

কাশিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান বাবু বলেন উপজেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ঐতিহ্যবাহী হাট হচ্ছে ত্রিমোহনী হাট। এই হাটের উন্নয়নের জন্য যে অর্থ প্রতিবছর বরাদ্দ দেয়ার কথা তা আজ প্রায় আট বছর ধরে উপজেলা প্রশাসন দেয়নি। যার কারণে হাটের আধুনিকায়ন থেকে শুরু করে ছোটখাটো মেরামত কিংবা সংস্কার করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। আমি এই বিষয়টি প্রতিবছরই উপজেলা প্রশাসনকে জানাই কিন্তু অজানা কারণে আজোও সেই বিষয়ে কোন ভালো ফল পাওয়া যায়নি। জানি না কবে অবকাঠামোগত আধুনিকায়নের ছোঁয়া এই ঐতিহ্যবাহী হাটটিকে স্পর্শ করবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন আমি হাটগুলোর আধুনিকায়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ দ্রুত ছাড় দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাকে কঠোর ভাবে নির্দেশনা প্রদান করেছি। আশা করা যায় খুব দ্রুতই এই বিষয়ে একটি ভালো ফলাফল পাবেন উপজেলাবাসী।