• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩-৯-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:১৮

কেক বিক্রি করেই প্রতিমাসে জ্যোতির আয় ২০-২৫ হাজার টাকা



সুলতান মাহমুদ, দিনাজপুর►

এক সময়ের মোবাইল কোম্পানীতে চাকুরী করলেও এখন পরিবারকে সময় দিয়ে প্রতিমাসে ২০ থেতে ২৫ হাজার টাকা আয় করছেন দিনাজপুরের নারী উদ্যোক্তা জয়তুন নাহার জ্যোতি। জ্যোতির বাড়ি দিনাজপুর শহরের পাহাড়পুরে । স্বামী সংসার ও দুই সন্তান নিয়ে এখন ভালই আছেন ।

দিনাজপুর সরকারী কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর একটি মোবাইল কোম্পানীতে চাকুরী জীবন শুরু করেন । পাঁচ বছর চাকুরী করার পর স্বামী সংসার দুই সন্তান নিয়ে মোবাইল  কোম্পানীর চাকুরীটিা নিয়মিত করা সম্ভব হচ্ছিল না ।

তাই এক সময় মোবাইল কোম্পানীর চাকুরী ছেড়ে দিয়ে কেক তৈরী প্রশিক্ষন গ্রহন শেষ করেন  জ্যোতি । এরপর আর পিচু তাকাতে হয়নি জ্যোতিকে । এখন প্রতিদিন অনলাইন ও অপলাইনে বিভিন্ন ধরনের কেক এর ওডার নেওয়া হয় ।  বিভিন্ন ভেলিভারী প্রতিষ্ঠিানের কর্মীদের দ্বারা কেক এর ওডার সরবরাহ করা হয় । নির্ধারিত তারিখের নিধারিত সময়ের মধ্যে জম্ম দিন , বিবাহ বার্ষিকী সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের কেক সরবরাহ করা হয় । এতে করেই প্রতিমাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে ।

নারী উদ্যোক্তা জয়তুন নাহার জ্যোতি বলেন ,আত্মবিশ্বাস,অদম্য ইচ্ছা,মনোবল মানুষকে পৌঁছে দিতে পারে । তিনি বলেন ,ঘর সংসার সামলিয়ে,নিজেই কেক বানিয়ে অনলাইন ও অপলাইনে বিক্রি করে মাসে ২০/২৫ হাজার আয় করছি । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জ্যোতির পেজ “কেক টাউন” ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ।

তিনি আরোও  বলেন, কেক ব্যবসা ও পেজকে দাঁড় করাতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে অনলাইন ফেসবুক গ্রুপ “দিনাজপুর গার্লস ক্লাব”।গ্রুপের এডমিন আফরিন মৌ ও আফরোজ মাহমুদ বন্যার অনুপ্রেরনা ও দিকনির্দেশনা ছিল । জয়তুন নাহার জ্যোতি  আরোও  জানান,পরিববারের জন্য সুস্বাদু ও ভেজালমুক্ত কেকের চাহিদা পূরণে মুলত কেক তৈরি শেখা । পরে দিনাজপুর গার্লস ক্লাব গ্রুপ,নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এসব পোষ্ট করে,ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পেতে

থাকি । যদিও চাকুরি প্রতি দুর্বলতা প্রথম থেকেই, অনলাইনে কেক বিজনেস এর মাধ্যমে চাকুরী না করার যে আফসোস সেটা কেটে গিয়েছে ।

নারী উদ্যোক্ত সম্পা দাস মৌ বলেন , আমাদের দিনাজপুরে অনেক নারী উদ্যোক্তা এখন স্ব স্ব প্রতিভা দিয়েই এগিয়ে আসছে । তার অন্যতম জ্যোতি।  সে তার কেক আইটেম নিয়ে অনেক দুর এগিয়ে যাবে । ইতিমধ্যে সে অনলাইন ও অপলাইনে অনেক এগিয়ে গিয়াছে ।

দিনাজপুর বিসিক উপমহাব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন বলেন , দিনাজপুরে ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ঐ বেকার যুবক যুবতিদের প্রশিক্ষন প্রদান করে আসছে । প্রশিক্ষন শেষে স্বল্প পরিসরে এমন নারী পুরুষ উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থাও করা হয় ।