- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২৪-৬-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:৩১
কেঁচোঁ সার চাষ করে স্বাবলম্বী আতোয়ার
ধাপেরহাট প্রতিনিধি ►
কেঁচোঁ সারের চাষ করে দারিদ্রকে বিদায় দিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন আতোয়ার রহমান। সাদুল্লাপুর উপজেলা সংলগ্ন পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের খেজের উদ্দিন প্রধানের ছেলে, আতোয়ার রহমান। ২০১৪ সালে তিনি স্বল্প পরিসরে ৬ টি রিং বসিয়ে একটি কেঁচোঁ সারের খামার তৈরী করেন,যার নাম দেন রাসেল ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচোঁ সার।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে শুরুতেই তিনি ৬ টি রিং এর মধ্যে হাফ কেজি কেঁচোঁ দিয়ে যাত্রা শুরু করেন, রাসেল ভার্মি কম্পোষ্ট কেঁচোঁ সার খামারের।আস্তে আস্তে খামারের পরিচর্যা করতে থাকেন আতোয়ার রহমান। বছর পেরিয়ে গেলে বেড়ে যায় তার খামারের পরিধি,এবার ১০০ টি রিং বসিয়ে শুরু করেন,আরও একটি কেঁচোঁ সারের খামার।এভাবে গত আট বছরে ৫৫ শতক জমির উপরে একে একে ৬ টি কেঁচোঁ সারের খামার তৈরী করে এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আতোয়ার।বর্তমানে তার ছয়টি খামারে মোট ১০০০ ( এক হাজার) রিংয়েমকেঁচোঁ সারের চাষ হচ্ছে। ।ছয়টি খামারের তিনি একই নাম দিয়েছে ,রাসোল ভার্মি কম্পোস্ট কেঁচোঁ সার।
রাসেল ভার্মি কম্পোস্ট কেঁচোঁ সার খামারের মালিক আতোয়ার রহমান জানান, আমি এক সময় কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতাম।উপজেলা কৃষি অফিসারের পরামর্শে ৬ টি রিং এর মধ্যে হাফ কেজি কেঁচোঁ দিয়ে খমার শুরু করি, আজ আমার ৬ টি কেঁচো সারের খামার, বর্তমানে আমি ৬ টি খামারে ১ হাজার রিংয়ের মাঝে কেঁচো চাষ করছি। এখন গড়ে প্রতিদিন আমার খামারে ৪/৫ জন লোক কাজ করে এবং বর্তমানে খামার থেকে প্রতিমাসে ১৮ থেকে ২০ টন কেঁচোঁ সার উৎপাদন হয়।প্রতিমাসে সাংসারিক ও খামারের যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে, মাসিক ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার বলেন, আতোয়ার রহমান ২০১৪ সালের প্রথম দিকে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে কেঁচোঁ সারের খামার শুরু করেন,বর্তনানে তিনি কেঁচোঁ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা কৃষি অফিস সব সনয় তাকে সার্বিক সহযোগীতা করে যাচ্ছি।সমাজের অনেকেই এখন তাকে দেখে কেঁচোঁ সারের খামার তৈরী শুরু করেছেন।