- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২১-১-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:৫৫
এসকেএস স্কুলে বাহারি পিঠায় ঐতিহ্যের ছোঁয়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
ভবতোষ রায় মনা ►
অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে সাজানো টেবিলগুলো। যার পুরোটা রং-বেরংয়ের কাপড়ে মোড়া। এর ওপর রাখা নানা পিঠা। প্রত্যেক আইটেমের পিঠার মধ্যে রয়েছে ছোট আকারের একটি কাঠি। তার মাথায় লাগানো এক টুকরো কাগজ। তাতে পিঠার দাম লিখে দেওয়া হয়েছে। থরে থরে সাজিয়ে রাখা এসব বাহারি আইটেমের পিঠা একসঙ্গে দেখলে চোখ অনেকটা ছানাবড়া হয়ে ওঠে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে গাইবান্ধার এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে আয়োজিত পিঠা উৎসবের চিত্র এমন।
পিঠা উৎসবের উদ্বোধনের আগেই পুরো প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অতিথিরা মেলা প্রাঙ্গণে চলে আসেন। এরপর তারা পিঠা উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন। অতিথিরা একে একে মেলায় অংশ নেওয়া স্টলগুলো পরিদর্শন করেন। তার পরপরই উৎসবে উপস্থিত দর্শনার্থীরা স্টলগুলোয় ভিড় করতে থাকেন।
এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা মেলায় পিঠার স্টল দিয়েছে। এসব স্টলে পাঁচ টাকা থেকে পঞ্চাশ টাকা মূল্যে পিঠা বিক্রি করা হয়। মেলায় আগত দর্শনার্থীদের বিভিন্ন স্টল থেকে নানা আইটেমের পিঠা কিনে স্বাদ আস্বাদন করতে দেখা গেছে। এসব স্টলে পাটিসাপটা, দুধ পুলি, ক্ষির পুলি, ঝাল পুলি, নাট পিঠা, চিকেন রোল, পুডিং, নকশি পিঠা, সন্দেশ পিঠা, মুগ ডালের পিঠা, মুড়ির মোয়া, তিলের মোয়া, কাউনের পায়েস, নারিকেলের নাড়ু, গুড় নারিকেলের নাড়ু, নকশি হালুয়া, বকুল পিঠা, সাবু পিঠা, চিড়ার মোয়া, সুজির পিঠা, নাটিকা পিঠা ও দুধ পিঠাসহ ৮টি স্টলে ৪০ রকমের পিঠার সম্ভাব ছিল উৎসবে।
জান্নাতি, হিমেল, আনাত, সিঁথি এরা সবাই এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী। তারা জানান, গ্রাম বাংলার সংস্কৃতির অংশ হিসেবে পিঠা উৎসবে যোগ দিয়েছেন। এখানে বাহারি পিঠার পসরা সাজিয়ে দোকান দিয়েছেন। এতে পিঠা বিক্রিও হচ্ছে। পাশাপাশি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের সঙ্গে নিজেদের পরিচয়ও ঘটছে।
হারিয়ে যাওয়া নাম না জানা পিঠাগুলির সঙ্গে নতুন প্রজন্মদের পরিচিত করার জন্যই এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানালেন আয়োজক ও এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো: আব্দুস সাত্তার।