- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ৮-২-২০২৪, সময়ঃ সকাল ০৯:৫১
এখনও চলছে চাল ব্যবসায়ীদের ‘চালবাজি’
মাধুকর ডেস্ক ►
মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, ভোক্তা অধিকারের নিয়মিত অভিযানেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না চালের বাজার। ব্যবসায়ীদের চালবাজিতে ধরাশায়ী ক্রেতা। খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশনার (১৭ জানুয়ারি) পর থেকেই ঢাকাসহ সারাদেশে মজুতবিরোধী অভিযান শুরু করেছে খাদ্য অধিদপ্তর। প্রতিদিন শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে লাখ লাখ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে। অবৈধ মজুত করা ধান-চাল জব্দ করে নিলামে বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। মাঝে মধ্যে খোদ খাদ্যমন্ত্রী নিজে অভিযানে যাচ্ছেন। বাড়তে বাড়তে খুচরা পর্যায়ে চালের দাম বাড়ে ছয় টাকা পর্যন্ত। খাদ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের ডেকে দাম কমানোর জন্য চারদিন সময় দেন। ব্যবসায়ীরা তাতে সম্মতি দিলেও কথা রাখেননি। চালভেদে খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ কমেছে দুই টাকা।
যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি, এ অভিযানের ফলে কোথাও কোথাও ধান ও চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে প্রকৃতপে আগেই উচ্চমূল্যে থাকা চালের দাম কমেছে সামান্যই। অর্থাৎ, ভোটের সময় ও পরের কয়েকদিন চালের দাম ছয় টাকা বাড়লেও অভিযানের পর মোকাম ও পাইকারি বাজারে কমেছে দেড় থেকে দুই টাকা কেজিপ্রতি। সামান্য এ দরপতনের খুচরায় প্রভাব নেই।
ওই বাজারে চাল ব্যবসায়ী কুমিল্লা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী খালেদ বলেন, ‘পাইকারি চালের বাজার এখনো চড়া। আমরা শুনেছি মোকামে দাম কমেছে। কিন্তু বাস্তবে ভোটের সময় দাম বেড়ে যেখানে উঠেছিল, সেখানেই আছে বলা চলে। তাই খুচরা বাজারে দাম কমেনি। পাইকারিতে দাম কমলে খুচরায় কমবে।
বড় বাজারে এখন প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ থেকে ৭২ টাকায়, যা একমাস আগে বিক্রি হয়েছে ৬৫-৬৬ টাকায়। আর ভোটের পরে ৭১ থেকে ৭২ টাকা বিক্রি হয়েছিল। খুচরা বাজারে এখনো মিনিকেট ৭২ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এভাবে ব্রি-২৮ জাতের চালের কেজি ৫৫ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হলেও সবশেষ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়, স্বর্ণা ৫০ থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা হলেও এখন ৫৩-৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মজুত, স্থানান্তর, পরিবহন, সরবরাহ, বিতরণ ও বিপণন (তিকর আইন প্রতিরোধ) আইন ২০২৩ এর বিধি প্রণয়নের কাজ চলছে। শিগগির এটি বাস্তবায়ন হবে। এতে চালে বাড়তি মুনাফা করার প্রবণতা কমে আসবে ব্যবসায়ীদের।