- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ৭-১০-২০২৩, সময়ঃ সকাল ১০:২৬
আজ দুয়ার খুলছে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের
মাধুকর ডেস্ক ►
প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময় ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত কিন্তু তার আগেই শেষ হয়েছে নির্মাণকাজ। কমেছে খরচও। স্থাপত্যশৈলী আর গুণগত মানেও কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে। দেশে সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন হওয়া মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে উদাহরণ তৈরি করেছে এই টার্মিনাল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকাল ১০টায় জমকালো এক আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই টার্মিনালের আংশিক উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে তৃতীয় টার্মিনালে মঞ্চ তৈরিরসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
জানা গেছে, সফট ওপেনিংয়ের পর বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইট তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার করে ঢাকা ত্যাগ করবে। সেই ফ্লাইটের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করবে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ বিমান। এই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের প্রস্তুতি হিসাবে বিমানবন্দরে চলছে মহড়া।
যা যা থাকছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালেযা যা থাকছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে
কোনো দেশের প্রবেশদ্বার হিসেবেই বিবেচনা করা হয় বিমানবন্দরকে। উন্নত দেশগুলোর বিমানবন্দরে রাখা হয় বিশ্বমানের সব ধরনের সুবিধা। এতোদিন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করা হলেও অবকাঠামোগত দুর্বলতায় সার্বক্ষণিক উন্নত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এমন বাস্তবতায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে নতুন একটি টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প পাস করা হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায়। ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকায় নতুন এই টার্মিনালের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের এপ্রিলে। এর মধ্যে জাপানের সহায়তা ১৬ হাজার ১৪১ কোটি টাকা। সিঙ্গাপুরের স্থপতি রুহানি বাহরিনের নকশায় নির্মাণ করা হয় এই টার্মিনাল।
অত্যাধুনিক বোর্ডিং কাউন্টার, ইমিগ্রেশন, চেকিং, নান্দনিক লাউঞ্জ, ট্রানজিট সুবিধা, বোর্ডিং ব্রিজ, সুবিশাল করিডোর, স্কেলেটর, লাগেজ বেল্টসহ সব সুবিধাই রাখা হয়েছে নতুন টার্মিনালে।
৩ বছরেই শেষ হয়েছে ৯০ ভাগ কাজ। বাকি কাজও শেষ হবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই। এ প্রকল্প থেকে সাশ্রয় হয়েছে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা। যা দিয়ে আরও কিছু অতিরিক্ত কাজ করার পরিকল্পনা করছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।