• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২০-৬-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৪:২৩

তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে-গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত



নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের নেমে আসা পানিতে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে জেলার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব নদ-নদীর পানি এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও তিস্তা নদীর পানি হচ্ছিল। গত ২১ ঘন্টায় এ নদীর পানি ৭ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত বিপদসীমার ২০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হয় বলে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্টোল রুম সুত্রে জানা গেছে। 

অপরদিকে পানি বৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি, মোল্লারচর, গিদারি, ঘাগোয়া ও ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, কাপাসিয়া ও হরিপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করছে। নদীতে পানি বাড়ার সাথে সাথে সদরের মোল্লার চর ও ফুলছড়ির ফজলুপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

গাইবান্ধা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতির উপর সার্বনিক নজর রাখা হচ্ছে। 

গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদ আল হাসান বলেন, জেলা ও উপজেলায় দুর্যোগকালীন সভা করা হয়েছে। নদী বেষ্টিত যে চারটি ইউনিয়ন রয়েছে। সেই সব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ প্রত্য সদস্যদের বলে দেওয়া হয়েছে নদীর পাড় পার্শ্ববর্তী যেসব ওয়ার্ড রয়েছে সেখানে গ্রুপ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে সার্বণিক নজরদারিতে রাখার জন্য। এছাড়া ওসব এলাকায় শুকনা খাবার বিতরণের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রাথমিক সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল জানান, বন্যা মোকাবিলায় সকল ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহযোগিতা করা হবে।