- মাধুকর প্রতিনিধি
- ১৪ ঘন্টা আগে
দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রেস বিজ্ঞপ্তি►
২৪ এপ্রিল,২০২৫ এসকেএস ইন, রাধাকৃষ্ণপুর, গাইবান্ধায় এসকেএস ফাউণ্ডেশন Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Coastal Areas of Bangladesh প্রকল্পের আয়োজনে দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থা/এনজিওর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বন্যার আগাম সাড়াদান কার্যক্রমের আওতায় দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এসকেএস ফাউণ্ডেশন GFFO Multi Hazard Anticipatory Action Initiatives প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালায় সভাপতি হিসেবে সুচনা বক্তব্য এবং উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা,দৈনিক মাধুকর প্রত্রিকার সম্পাদক কে এম রেজাউল হক। এসকেএস ফাউণ্ডেশন Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Coastal Areas of Bangladesh প্রকল্পের এন্টিসিপেটরী একশন বিষয়ে উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ জালাল উদ্দিন। সভাপতি বক্তবে তিনি বলেন আমরা যত বেশী প্রকৃতিকে বাধাগ্রস্ত করছি প্রকৃতিও তত বেশী আমাদের প্রতিশোধ নিবে। পৃথিবীর উষ্নায়নকে আমরা যতবেশী ত্বরান্বিত করবো আমরাই বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবো। এজন্য আমাদের প্রযোজন দুর্যোগের পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহন।
এছাড়া এসকেএস ফাউণ্ডেশন এর এন্টিসিপেটরী একশন এরপ্রকল্প কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার পাল বাংলাদেশ সরকারের বন্যা দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলি ২০১৯ উপস্থাপন করেন এবং পুর্বাভাস তথ্য জানান জন্য বিভিন্ন তথ্য লিংক এবং অ্যাপস ও ওয়েভসাইট তুলে ধরেন। কর্মশালায় স্টেকহোল্ডারদেও দায়িত্ব ও কর্তব্য বিষয়ে আলোচলা করা হয়। শিখন বিনিময় কর্মশালায় আরও আলোচনা হয় সকলের সম্মিলিতভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে যাতে দুর্যোগের আগাম পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির ফলে লক্ষিত জনগোষ্ঠির সম্পদ ও জীবনমানের ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব হয়।
উল্লেখ্য যে,এসকেএস ফাউণ্ডেশন GFFO Multi hazard Anticipatory Action Initiatives নামক প্রকল্প ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে গাইবান্ধা জেলায় তিনটি উপজেলা যথা গাইবান্ধা সদর. ফুলছড়ি এবং সুন্দরগঞ্জ মোট ১২টি ইউনিয়নে কাজ করে আসছে। জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর আর্থিক সহায়তায় সেভ দ্য চিলেড্রন এর সার্বিক সহযোগিতায় ও রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্পটি বন্যার আগাম সাড়াদান কার্যক্রম এর মাধ্যমে বন্যাকবলিত লক্ষিত জনগোষ্ঠির সম্পদ ও জীবনমানের ক্ষয়ক্ষতি কমানের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহন ও সংশ্লিষ্ট সকল স্টাফ, স্টেকহোল্ডারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সক্ষমতা বাড়ানোয় কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহনে ভূমিকা রাখছে।
কর্মশালায় জেলার প্রায় ২৫ টি বেসরকারী সংস্থা/প্রকল্পের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ কিভাবে লক্ষিত জনগোষ্টিকে তাদের সহায়তা প্রদান করবে, কিভাবে বন্যাপ্রবণ জনগোষ্ঠিকে তাদের সম্পদ ও জীবিকায়ন ক্ষতি হ্রাস করার ক্ষেত্রে ন্যায্যতার বিবেচনায় জেন্ডার সমতা ও সাম্যতা আনায়নে সহায়তা করবে সে আলোচনাগুলিই প্রাধান্য পায়। দিন ব্যাপি এ কর্মশালায় জেলার সকল স্কাউট,শিশু,ইন্টারপ্রেটার পুল,দুর্যোগ স্বেচ্ছাসেবক,ইউনিয়ন ও উপজেলা এবং জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে অংশগ্রহনকারীদের মতামত, পরামর্শ, জ্ঞান ও দক্ষতা এবং চ্যালেঞ্জসমূহ বিনিময় ও উপস্থাপন করেন।
বন্যা পূর্বে ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট সাসেটেইনেবল এগ্রিকালচার এর উপর গুরুত্ব দেয়ার পাশাপাশি সম্মিলিতভাবে কাজ করার জন্য পরামর্শমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন কঞ্চিপাড়া ইউনিয়ন ফেডারেশন সভাপতি মোছা: লাকী বেগম ,উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল মোমেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহাজাদা। আলোচনা করা হয় এরফলে এন্টিসিপেটরী একশন বিষয়ে নতুন করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় গাইবান্ধায় একটা সুন্দর দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প কর্মকর্তা মলয় কুমার সরকার,মো: রেজাউল করিম, প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তাগণসহ সুফল ক্রকল্পের প্রতিনিধিবৃন্দ প্রমূখ।