• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১ ঘন্টা আগে

গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর গাড়িতে মিললো ৩৭ লাখ টাকা



মাধুকর ডেস্ক►

নাটোরের সিংড়ায় প্রাইভেট কারে তল্লাশি চালিয়ে গাইবান্ধার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নিবার্হী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের গাড়ি থেকে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা পাওয়া গিয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় গাড়িটিসহ ওই প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে তল্লাশি চলাকালে তার গাড়িতে টাকা পাওয়া যায়। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী পুলিশের কাছে দাবি করেন— গাড়িতে থাকা টাকাগুলো জমি বিক্রির টাকা।

এদিকে আজ (শুক্রবার, ১৪ মার্চ) বিকেলে মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের জন্য ডাকলে যে কোনো সময় তিনি হাজির হতে বাধ্য থাকবেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ছাবিউল ইসলাম রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেট কার রাজশাহী যাচ্ছিল। এ সময় বালুয়া-বাসুয়া চলনবিল গেট এলাকায় চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশির অংশ হিসেবে প্রাইভেট কারটিও তল্লাশি করে পুলিশ। এ সময় প্রাইভেট কারের ব্যাকডালার মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা দেখতে পায় পুলিশ। এ সময় গাড়িতে থাকা ব্যক্তি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেন। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকাসহ প্রকৌশলীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক জানান, এলজিইডির প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী ছাবিউল ইসলাম পুলিশকে প্রথম দিকে জানিয়েছিলেন, তার কাছে জমি বিক্রির ৩০ লাখ আছে। পরে গণনা করে আরও ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। বিষয়টি উদঘাটন করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। মুচলেকা নিয়ে পরিবারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের জন্য ডাকলে যে কোনো সময় হাজির হতে বাধ্য থাকবেন তিনি।

এ ব্যাপারে এলজিইডির প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, গাইবান্ধা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন। জমি বিক্রির বৈধ টাকা গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।