• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৮-২-২০২৫, সময়ঃ রাত ০৭:০৪

‘তিস্তাত নাই পানি, ব্রিজ দিয়ে হামরা কি করি’



তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►

‘তিস্তাত নাই পানি, হামরা ব্রিজ দিয়ে কি করি। আর কয় বছর পর এটা শুকিয়া ঘাটা হইবে। তখন হ্যামরা হাঁটি পার হম। যদি সরকার তিস্তা না খোরে, তাহলে এত ট্যাকার ব্রিজ পড়ি থাকবে। এই ব্রিজ কামোত নাগবার গেইলে, আগে নদী খোরা নাগবে। মিটিং করি কাম হইবে বাবা।’

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আন্দোলনে এসে হরিপুর-চিলমারি তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু পয়েন্টে এসব কথা বলেন কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরের আনছার আলী। তার দাবি এখনেই তিস্তার নিচে পানি নাই। হেঁটে পার হয়া যাবে। তাহলে আজ থেকে ১০ বছর কি হবে। 

হরিপুরের ডাঙ্গার চরের সোলেমান মিয়া বলেন তিস্তা ভরে উঠায় নদী ভাঙনের পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন সারা বছর নদী ভাঙে। চরবাসিকে বছরে ১০ হতে ১৫ বার নদী ভাঙনের কবলে পড়তে হয়।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম বলেন তিস্তা নদী রক্ষা করতে হলে, নদী খনন, ড্রেজিং, সংরক্ষন ও শাসন করা একান্ত প্রয়োজন। তা না হলে আগামি ১০ বছরের মধ্যে গোটা নদী ভরে উঠবে। ইতোমধ্যে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে আবাদি জমিতে রুপ নিয়েছে। গোটা চরে প্রায় ২০টি শাখানদী বা নালায় রুপ নিয়েছে তিস্তা। সে কারনে সারা বছর ভাঙছে তিস্তা।

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামানিক বলেন, স্বাধীনতার পর আজ পর্যন্ত কোন সরকার তিস্তা নদী রক্ষার জন্য কাজ করে নাই। সেই কারনে আজ ভরা তিস্তা নদী মরায় পরিনত হযেছে। তিস্তা রুপ নিয়েছে ধূ-ধূ বালু চরে। তিস্তার চরে এখন নানাবিধ ফসলের আবাদ হচ্ছে। যার কারণে বৈষ্যিক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। জীববৈচিত্য এবং পরিবেশকে ফিরে পেতে তিস্তা রক্ষা করতে হবে। সবমিলে তাদের এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বাবুল আহমেদ বলেন, ভারত বাংলাদেশকে ধংস করার জন্য নদী আইন অমান্য করে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। পানির প্রবাহ না থাকায় আজ তিস্তার এই অবস্থা। তাই সকলে মিলে তিস্তাকে রক্ষা করার জন্য আন্দোলনের ডাক দিয়েছে দুলু ভাই। তিস্তা রক্ষা না হলে নির্মাণাধীন তিস্তা সেতু আগামী ১৫ বছর পর কোন কাজে আসবে না।