• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৪ ঘন্টা আগে

গাইবান্ধায় দুর্যোগের বহুমাত্রিক আপদের আগাম সতর্কবার্তা সংক্রান্ত কর্মশালা



প্রেস বিজ্ঞপ্তি►

২৭ নভেম্বর,২০২৪ এসকেএস ইন, রাধাকৃষ্ণপুর, গাইবান্ধায় জিএফএফও মাল্টি হ্যাজার্ড এন্টিসিপেটরী একশন ইনিসিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ  (GFFO Multi Hazard Anticipatory Action Initiatives in Bangladesh) প্রকল্পের আয়োজনে RIMES এর উদ্যোগে এসকেএস এর সহায়তায় গাইবান্ধা জেলার দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তার নেতৃত্বে জেলাধীন দুর্যোগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল জেলা পর্যায়ের সেকটোরাল সরকারী কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ,প্রকল্প সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা,সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিগণ এবং ইলেক্ট্রোনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকসহ সুশিলসমাজ ,এনজিও  ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প প্রতিনিধিদের এর আশগ্রহনে এসকেএস ইন জলধারা হল রুমে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Coastal Areas of Bangladesh প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণের সুচনা বক্তব্য এবং  উদ্বোধন করেন মো: শরিফুল ইসলাম,উপ-পরিচালক,স্থানীয় সরকার বিভাগ,গাইবান্ধা। প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: জালাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় এ কর্মশালায় কর্মশালার উদ্দেশ্য ও পেক্ষাপট ব্যাখা করেন রাইমস এর মো:তানজিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক কর্মকর্তা মো: শফিকুল ইসলাম,উপ-পরিচালক,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর,নির্বাহী প্রকৌশলী,ডিপিএইচই মো: আব্দুর রাজ্জাক,জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা,সিনিয়র সিটিজেন ও সাবেক জেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি কে এম রেজাউল হক।

উল্লেখ্য যে, Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Coastal Areas of Bangladesh নামক একটি প্রকল্প ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে গাইবান্ধা জেলায় তিনটি উপজেলা যথা গাইবান্ধা সদর. ফুলছড়ি এবং সুন্দরগঞ্জ মোট ১২টি ইউনিয়নে কাজ করে আসছে। জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর আর্থিক সহায়তায় সেভ দ্য চিলেড্রন এর সার্বিক সহযোগিতায় ও রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্পটি বন্যার আগাম সাড়াদান কার্যক্রম এর মাধ্যমে বন্যাকবলিত লক্ষিত জনগোষ্ঠির সম্পদ ও জীবনমানের ক্ষয়ক্ষতি কমানের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহন ও সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সক্ষমতা বাড়ানোয় কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহনে ভূমিকা রাখছে। সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ কিভাবে লক্ষিত জনগোষ্টিকে তাদের সহায়তা প্রদান করবে, কিভাবে বন্যাপ্রবণ জনগোষ্ঠিকে তাদের সম্পদ ও জীবিকায়ন ক্ষতি হ্রাস করা যায় তা আলোচনা হয়। এ প্রকল্পের অন্যতম একটি বিষয় হলো আপদগুলির আগাম বার্তা, সতর্কবার্তা ও করনীয় বার্তা প্রদানএর মাধ্যমে লক্ষিত জনগোষ্ঠির জীবিকায়ন ও সম্পদ রক্ষা ও হ্রাস করা। দুর্র্যোগের আপদ বিবেচনায় বর্তমানে কিভাবে বার্তাগুলি প্রচার ও বিস্তার ঘটছে তা বিশ্লেষণ করা হয়। আরও কি কি ধরনের সিস্টেম ডেভেলপ করা যায় তার উপর বিস্তারিত আলোচনা ও প্রস্তাব গৃহিত হয়। কর্মশালায় প্রকল্প বিয়য়ে উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন,ঢাকা অফিসের সিনিয়র আফিসার-এডভোকেসি আফ্রিদা নাজিবা।

দুর্যোগের বার্তা প্রবাহ সংক্রান্ত বিষয়ে সচিত্র উপস্থাপন করেন বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র, ঢাকা এর সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার পার্থ প্রতীম বড়ুয়া। কর্মশালায় কাপাসিয়া, চন্ডিপুর, হরিপুর, বেলকা, ফুলছড়ি,ফজলুপুর, কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া, কামারজানি, ঘাগোয়া, গিদারী, মোল্লারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণসহ ৬০জন অংশগ্রহন করেন।