• মাধুকর প্রতিনিধি
  • এই মাত্র

উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ৩০০ বিলিয়ন ডলারের জলবায়ু তহবিল অনুমোদন



আন্তার্জাতিক ডেস্ক►

আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে তিক্ততায় রূপ নেওয়া আলোচনার পর বিশ্ব আজ রোববার (২৪ নভেম্বর) বার্ষিক ৩০০ বিলিয়ন ডলারের একটি তহবিল অনুমোদন করেছে। তবে দুর্যোগে পর্যদুস্ত দরিদ্র দেশগুলো বিশ্বের দূষণের জন্য দায়ী বিত্তবান দেশগুলোর প্রতিশ্রুত এই তহবিলকে ‘অপমানজনক নগন্য’ হিসেবে অভিহিত করেছে। খবর এএফপির।

দুই সপ্তাহের দম আটকে আসার মতো বিশৃঙ্খল দর-কষাকষি এবং বিনীদ্র রাতের পর আজারবাইজানের একটি স্পোর্টস স্টেডিয়ামে প্রায় ২০০টি দেশ বিতর্কিত এই অর্থচুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছে।

বিপুল করতালির মধ্য দিয়ে প্রস্তাবটি গ্রহণের মুখে ভারত জোর গলায় তহবিলের অঙ্ককে নিতান্তই কম বলে তা গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়। ভারতের প্রতিনিধি চাঁদনি রেইনা কড়া ভাষায় বলেন, ‘এটা খুবই নগন্য অঙ্ক।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই নথিপত্র একটি অপটিক্যাল ভুলের চেয়েও বেশি। আমাদের মতামত অনুসারে এই তহবিল যে ঝুঁকি আমরা সবাই মোকাবিলা করছি তা মেটাতে পারবে না।’

বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হিসেবে বিবেচিত সিয়েরা লিওনের জলবায়ু মন্ত্রী জিও আবদুলাই এই উদ্যোগকে উন্নত দেশগুলোর ‘সদিচ্ছার অভাব’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘ফলাফল হিসেবে যা এসেছে, তা দেখে আমরা খুবই হতাশ।’

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ঝুঁকিতে থাকা ছোট দ্বীপদেশ মার্শাল আইল্যান্ডের জলবায়ু প্রতিনিধি টিনা স্টেজ বলেন, তিনি এই সম্মেলন থেকে লড়াই শেষে সামান্য কিছুই নিয়ে যেতে পারবেন। তবে তিনি বলেন, ‘এটা পর্যাপ্ত নয়, তবে এটা শুরু হলো।’

ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর জোট, অনগ্রসর দেশগুলো এবং আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যস্থতাকারীরা যারা কিনা উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে পরিচিত, তার সবাই এই চুক্তিতে হতাশা প্রকাশ করেছে।

বিশ্বের বাড়তে থাকা তাপমাত্রা ও বাড়ন্ত প্রাণঘাতী দুর্যোগের মুখে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে অনভিজ্ঞতার জন্য বেশ কিছু দেশ তেল ও গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ আজারবাইজানের ভূমিকাও দায়ী করেছে।

অনেক উন্নয়নশীল দেশ ৫০০ বিলিয়ন ডলারের তহবিলের জন্য চাপ তৈরি করলেও উন্নত দেশগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপের কাছে এই প্রত্যাশা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের জলবায়ু সংস্থার প্রধান সাইমন স্টিল স্বীকার করেন, চুক্তিটি পরিপূর্ণ হয়নি। তিনি বলেন, ‘কোনো দেশই তারা যা চেয়েছিল, তার সবটা পায়নি। এটা আসলে জয়োল্লাসে মেতে ওঠার সময় নয়।’

অন্যদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি আরও উচ্চাভিলাষী কিছুর জন্য আশা করেছিলেন। তবে তিনি এটাকে ভিত্তি হিসেবে দেখার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি আবেদন জানান।