• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১১-১১-২০২৪, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:০৯

গাইবান্ধায় শেখ হাসিনা-সাবেক পুলিশ সুপারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা



নিজস্ব প্রতিবেদক►

গত ৪ আগস্ট গাইবান্ধায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পুলিশ সুপার কামাল হোসেনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় আরও ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। 

আজ (সোমবার) বিকেলে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ মো. ওয়াহেদুর রহমান বাদী হয়ে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল মতিনের আদালতে এ মামলাটি করেন। এ সময় আদালতে আহত বাদী ও স্বাক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন: বর্তমান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) ইব্রাহিম হোসেন, সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মন্ডল, জেলা যুবলীগের সভাপতি সরদার সাঈদ হাসান লোটন, সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসিফ সরকার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন মামুন 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিগত ৪ আগস্ট তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার পতনের আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ সুপার কার্যলায়ের সামন দিয়ে মিছিলটি সার্কিট হাউজের দিকে যাওয়ার সময় স্বৈরাচার হাসিনার নির্দেশে সাবেক পুলিশ সুপার কামাল হোসেন ও দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ইট-পাটকেল ও গুলি, রাবার বুলেটসহ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে বাদী ওয়াহেদুর রহমানের শরীরে নয়টি গুলি লাগে মাটিতে পড়ে যায়। এসময় স্বাক্ষী মো. রাশেদুজ্জামান আশিকসহ চার শতাধিক ছাত্র- জনতা আহত হয়। 

মামলার বাদী ওয়াহেদুর রহমান রহমান বলেন, আমি পুলিশের গুলিতে অসুস্থ্য হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলাম। বাড়িতে থেকে স্বৈরাচারের দোসর ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগসহ তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ওই দিনের ঘটনায় অসংখ্য আহত ছাত্র-জনতার হয়ে তার পর কোন রাজনৈতিক দল প্রকৃত দোষীদের বিচার দাবি করে নাই বা মামলা করলেও প্রকৃত দোষীদের আসামী করে নাই। এজন্য আজ সকল আহতদের বিচারের দাবিতে আমি বাদী হয়ে আদালতে মামলাটি করি। 

মামলার আইনজীবী রেজওয়ানুল হক মন্ডল বলেন, স্বৈরাচার হাসিনাকে প্রধান আসামী, গাইবান্ধার সাবেক পুলিশ সুপার কামাল হোসেনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে ও আরও ৫০/৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলাটি ফাইল করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।