• মাধুকর প্রতিনিধি
  • এই মাত্র

গাইবান্ধায় মাসব্যাপী এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রম শুরু



নিজস্ব প্রতিবেদক►

নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) প্রতিরোধে গাইবান্ধায় টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলবে।

এ কর্মসূচির প্রথম দুই সপ্তাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রীদের এবং বাকি দিনগুলোতে কমিউনিটি পর্যায়ে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদের বিনামূ্ল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। জেলার ৭ উপজেলার ১ লাখ ২১ হাজার ২৬০ জন কিশোরীকে বিনামূ্ল্যে এ টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দেশব্যাপী এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক ও গাইবান্ধা পৌরসভার প্রশাসক শরিফুল ইসলাম।

বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেওয়ান মওদুদ আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌরসভার প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এইচপিভি কী, কীভাবে এটি নারীদের জরায়ুমুখে ক্যান্সার সৃষ্টি করে এ বিষয়ে আমাদের জানতে হবে। কিশোরী বয়সে মাত্র একটি টিকা নিয়ে সারাজীবনের জন্য সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। যারা টিকা পাবে তারা অন্যদেরও এই টিকার সুফল সম্পর্কে জানাবে। কোনভাবেই কেউ যেন এই টিকা কার্যক্রম থেকে বাদ না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা নারীদের জরায়ুখ ক্যান্সার সৃষ্টিকারী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকাদানের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত বাংলাদেশে অসংখ্য নারী মারা যায়। এইচপিভি জীবানু শরীরে প্রবেশের পর এর লক্ষণ প্রকাশ পেতে সময় লাগে ১০ থেকে ১৫ বছর। শেষ সময়ে গিয়ে আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশ শনাক্ত হয়। তখন আর সেরে উঠার সময় থাকে না। তবে টিকা দিলে সেই শঙ্কা আর থাকবে না।’

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের উপাধ্যক্ষ জান্নাতুল ফেরদৌস, এসআইএমও ডা. জাকারিয়া, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হানিফ সরদার, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট আব্দুল হালিম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা অমিতাভ চক্রবর্তী, টিকাদানকারী সুপারভাইজার রায়হান মিয়া প্রমুখ। টিকাদান কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক হিসাবে কাজ করছে বাংলাদেশ ইয়ুথ অর্গানাইজেশন, গাইবান্ধা জেলা শাখা।