• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১৪ ঘন্টা আগে

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ



নিজস্ব প্রতিবেদক►

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার বিচার এবং সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। 

আজ (মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গাইবান্ধা পৌরপার্ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা।

এসময় তারা ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘ফ্যাসিবাদের গদিতে, জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না, ‘চুপ্পু তুই সরে যা, ধেয়ে আসছে জনতা’, ‘দফা এক দাবি এক, চুপ্পুর পদত্যাগ, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে, ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করো’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন। মিছিলটি স্টেশন রোড দিয়ে সার্কুলার রোড হয়ে ডিবি রোড ঘুরে পুরাতন জেলখানা মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। 

সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি, এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তিনি মিথ্যাচার করেছেন। এর ফলে তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকার বৈধতা হারিয়েছেন। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসনের জন্য তিনি ষড়যন্ত্র করছেন। শহীদ ভাইদের রক্তের দাগ আমরা এখনো ভুলে যাইনি। আমরা অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চাই।

‘সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে কোনোভাবে আর এদেশের মানুষ মেনে নেবে না’ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, গত ১৫ বছরের কর্মকাণ্ড তাদের কোনোভাবে ছাত্রসংগঠন হিসেবে বৈধতা দেয় না। এখনও তারা বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। চট্টগ্রামের তারা গুপ্ত হামলা চালিয়েছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। সেইসঙ্গে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক মেহেদী হাসান, বায়েজিদ বোস্তামি জীম, দিবস রহমান, মৌটুসী ইনাম, কাফি ইসলাম লিমন-সহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাপ্তাহিক রাজনৈতিক ম্যাগাজিন ‘জনতার চোখ’-এ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আলাপকালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’ এ নিয়ে দেশজুড়ে নানা বিতর্ক ও সমালোচনা চলে। এরপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে রাষ্ট্রপতির পদে তার থাকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।