• মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১৬ ঘন্টা আগে

চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহালের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন



নিজস্ব প্রতিবেদক►

ঢাকার পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে চাকরিচ্যুত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন করেছে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ। এ সময় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বিস্ফোরক মামলায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবি জানান। পরে এসব দাবি নিয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি দেন তারা।

সংগঠনটির জেলা শাখার উদ্যোগে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে শহরের গাইবান্ধা নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (গানাসাস) সামনে  এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য এবং কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের স্বজনেরা অংশ নেন।

এ সময় তারা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকার প্রহসনের বিচারের নামে আলামত ধ্বংস করে নিরীহ ৫৪ জন বিডিআর সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে হত্যা করেছে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে তথাকথিত `বিডিআর বিদ্রোহের‘ নামে সংজ্ঞায়িত করে ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাজার হাজার চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাঁদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে চাকরিচ্যুত নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানাই। সেইসঙ্গে বিস্ফোরক মামলায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের দ্রুত মুক্তির ব্যবস্থা করারও দাবি করছি।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদের জেলা সমন্বয়ক ও চাকরিচ্যুত বিডিআরের হাবিলদার সহকারী ওসমান গনি, জেলা সমন্বয়ক আব্দুর রাজ্জাক, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য আসাদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান, নজরুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান ও মিস নেহাসহ অন্যরা।

মানববন্ধন শেষে ৯ দফা দাবিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে কথিত বিদ্রোহ না বলে `পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড‘ হিসেবে আখ্যায়িত করতে হবে। ওই ঘটনায় গঠিত সব প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল করতে হবে। চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সুযোগ–সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে।
দাবিতে আরও রয়েছে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য ও কুশীলবদের চিহ্নিত করতে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। পিলখানায় শাহাদাতবরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দিতে হবে। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানা হত্যকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই দিনকে ‘পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার দাবিও জানান বিডিআর কল্যাণ পরিষদ গাইবান্ধা জেলার নেতৃবৃন্দ।