- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১০-১০-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১১:১২
সুন্দরগঞ্জে ঘাঘটের ভাঙনের মুখে আশ্রয়ণ প্রকল্প ও স্কুল
তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►
ভারী বর্ষণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের ঘাঘট নদীর ভাঙনের মুখে দক্ষিণ সাহাবাজ আশ্রয়ণ প্রকল্প ও মধ্য সাহাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আশ্রয়নের বাসিন্দারা চরম ঝুঁকি ও আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। তাদের দাবি নদীভাঙন রোধ না করতে পারলে আশ্রয়ণ রক্ষা করা যাবে না।
অব্যাহত ভাঙন ঠেকানো না গেলে নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে আশ্রয়ণের ঘরবাড়ি ও স্কুলটি। আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন আশ্রয়ণে বসবাসরত পরিবারগুলোরা। নদীর তীব্র স্রোত আর আছড়ে পড়া ঢেউয়ে পাড়ের মাটি খসে গ্রাস করছে এলাকা। গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ সাহাবাজ গ্রাম ভাঙনে অশান্ত হয়ে উঠেছে।
অসময়ে নদীভাঙনে শুরু হওয়ায় পাঁচ শতাধিক পরিবার ভাঙনের মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে সর্বানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা আমেনা বেগম বলেন, ৩০টি পরিবারের কমপক্ষে ৩০০জন মানুষের বসবাস এখানে। এক সময় তাদের ঘর ছিল না। এখন ঘর পেলেও ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে। ভাঙন ধেয়ে আসছে আশ্রয়ণের দিকে। আশ্রয়ণটি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেলে তাদের কি হবে এটি তাদের বড় চিন্তা।
আরেক বাসিন্দা হালিম মিয়া বলেন, ভাঙন এলাকা থেকে বর্তমানে আশ্রয়ণের দুরত্ব ২০ হতে ৩০ হাত। যে কোন মহুত্বে আশ্রয়নের ঘর নদীগর্ভে বিলিন হতে পারে। আশ্রয়ণটি রক্ষা করা জরুরী হয়ে পরেছে।
সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি রক্ষা করার জন্য জেলা, উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তপক্ষকে বার বার অবগত করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, ভাঙনের বিষয়টি তারা অবগত। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. নাজির হোসেন জানান, চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।