• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৯-৯-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:২৯

পীরগাছায় তিস্তায় তলিয়ে গেছে বীজ বাদাম, কৃষকের স্বপ্নভঙ্গ



রবিউল আলম বিপ্লব, পীরগাছা►

রংপুরের পীরগাছায় তিস্তার জেগে ওঠা চরে বীজ বাদাম চাষ করে দিন বদলের চেষ্টা করছিলেন চরাঞ্চলের অভাবি পরিবারগুলো। কিন্তু আকস্মিক তিস্তায় পানি বৃদ্ধি হয়ে বন্যা দেখা দেওয়ায় নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে ফসলি ক্ষেত। এতে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করেছেন কৃষকেরা।

আজ (রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বীজ বাদামসহ মরিচ ও আমন ক্ষেত। 

স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও পীরগাছা উপজেলার চরাঞ্চলে বীজ বাদাম চাষ হতো মাত্র ৫০ হেক্টর জমিতে। এখন চাষের এলাকা তিনগুণ ছাড়িয়ে গেছে। চরাঞ্চলে বীজ বাদামের ফলন ভালো হয়। তাই কৃষকেরা বীজ বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়েছে।

এ অঞ্চলে সাধারণত ঢাকা-১, বিনা-৬, বিনা-৭, বারি চিনা বাদাম-৬, বারি-৭ ও বারি-৮ জাতের বাদাম চাষাবাদ হয়। তবে বারি-৮ জাতের বাদাম বীজে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়। এ জাতের বাদাম কৃষকের কাছে হাইব্রিড বাদাম হিসেবে পরিচিত। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে বাদাম রোপণের সময় আগাম বীজ বাদামের চাহিদা বেড়ে যায়। এ সময় বীজ বাদামের দাম ভাল পাওয়া যায়। কিন্তু এবার আকস্মিক বন্যার কারণে চরাঞ্চলের ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। এতে পানির নিচে থাকায় শতাধিক হেক্টর জমির বীজ বাদামের ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

কৃষকরা জানান, আমনধানের তুলনায় বাদাম চাষ লাভজনক। তাই অনেকে আমনধানের পরিবর্তে বীজ বাদাম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।

উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের চর গাবুড়ার কৃষক আকবর হোসেন বলেন, ধানের চেয়ে বীজ বাদামের দাম বেশী। গত বছর বীজ বাদাম চাষ করে ভাল লাভ পেয়েছিলাম। তাই এবারও চাষ করেছি। কিন্তু বন্যার কারণে ডুবে যাওয়ার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল।

জুয়ানের চরের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, বাইরে থেকে বীজ বাদাম কিনে রোপণ করা হয়। তাই এ বছর ২০ শতাংশ জমিতে বীজ বাদামের চাষ করেছি। মনে করেছিলাম বাদাম রোপণের সময় আর বাইরে থেকে বীজ বাদাম কিনতে হবে না। কিন্তু বানের কারণে সেটা মনে হয় সম্ভব হবে না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলে বীজ বাদামসহ মরিচ, আমন ধান তলিয়ে গেছে। তবে দ্রুত পানি নেমে গেলে ক্ষতি কম হবে।