- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১৪-৯-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:৩২
আউশ ধান কাটা-মাড়াইয়ে ব্যস্ত গোবিন্দগঞ্জের কৃষকেরা
গোপাল মোহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পরিত্যাক্ত জমিতে সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষ করা আউশ ধানে পাকন ধরায় কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন কৃষকেরা। ধানের ভালো ফলনে মানুষের খাদ্য ঘাটতি পূরণের পাশাপশি গো খাদ্য সংকট মোকাবেলায় সহায়তা করবে।
বোরো ও আমনের ধানের মাঝামাঝি সময়ে এ ধানের আবাদ করা হয়। তবে বোরো আবাদের পর আমন হয়না এমন পতিত জমিতে এবার আউশ চাষ করা হয়। বৃষ্টি নির্ভর আর স্বল্প খরচ হওয়ায় ক্রমেই আউশ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক।
উপজেলায় বোরো-আমন ধান আবাদের মাঝামাঝি সময়ে বিঘার পর বিঘা জমি পতিত থাকত। এবার এধরণে অনেক জমি আউশ ধান চাষের আওতায় এসেছে। এতে করে দুই ফসলী জমি গুলো তিন ফসলী জমিতে পরিনত হয়েছে। কীটনাশক ও সার খরচ কম লাগায় এবং মাত্র ১শ ২০ দিনের মধ্যে এই ধান ঘরে তোলা যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে বেশ সারা ফেলেছে।
এবার গোবিন্দগঞ্জ পৌর সভার খলসী চাঁদপুরে প্রায় ৪৫ জন কৃষক সমন্বিত পদ্ধতি অনুসরন করে একই সাথে প্রায় ৬০ বিঘা পতিত জমিতে আউশ চাষ করে লাভবান হওয়ার আশা করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে উপজেলায় এবার ১৪ শ ৪২ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি বছর আউশ মৌসুমে পৌর সভার খলসি এলাকার কৃষক অসীম সরকার বলেন, অপেক্ষাকৃত নীচু ও বন্যা প্রবণ হওয়ায় এসব জমিতে আমন হয়না। তাই বোরো ধান কাটার পর দীর্ঘ সময় পতিত থাকতো। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রণোদনা সহয়তা পাওয়ায় এর্বাই প্রথম আউশ ধানের চাষ করে গরুর খাদ্য সংকট হয়। কিন্ত, আউশের ধানের খর সে অভাব পূরণ করবে।
কৃষক সানা মিয়া বলেন, এ মৌসুমের ব্রি ধান-৪২,৪৩,৪৮ ও কুদরত মত নতুন নতুন উফশি জাত আসায় কৃষদের মাঝে এই ধান চাষের আগ্রহী যেমন বেড়েছে, তেমনি এ এলাকায় প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে আউশ ধান চাষ। এ কারণে এক ফসলি জমি দুই ফসলি আর দুই ফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে পরিনত হচ্ছে।
গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা ব্লকের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা, বিলাস কুমার ভট্টাচার্য্য বলেন, স্থানীয় জাতের চেয়ে উফশি নতুন জাত আউশ ধানের ফলন অনেক বেশি, সেই সাথে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি নেই।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, আউশ ধান চাষে কৃষকদের কৃষি প্রণোদনাসহ প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষন ও পরামর্শ সহয়াতা দেয়া হয়েছে। তবে স্বল্প সময়ে কম খরচে এই ফসল ঘরে তোলা যাওয়ায় কৃষকদের মাঝে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।