- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ১৮-২-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০১:৩৯
সৈয়দপুরে অগ্নিকান্ডে ২টি ক্যামিকেল গোডাউনসহ ৪ টি কোয়াটার পুড়ে ছাই, দেড়
শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর ►
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অগ্নিকান্ডে রেলওয়ের কোয়াটার দখল করে গড়ে ওঠা দুইটি ক্যামিকেল গোডাউনসহ ৪ টি বাড়ি (কোয়াটার) সম্পূর্ণভাবে ভস্মিভুত হয়েছে।
এছাড়াও আশেপাশের আরও কয়েকটি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে প্রায় দুইঘন্টা স্থায়ী হয়। এতে প্রায় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৫ টায় শহরের মুন্সিপাড়া কর্ণেল তাহের রোড (জাসদ মোড়) রেলওয়ে কলোনীতে এই ঘটনা ঘটেছে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন মৃতঃ রবিউল চৌধুরির স্ত্রী জাহেদা বেগম, মৃত ভলুর ছেলে আরবি, মো. উকিল, মো. শরফরাজ ও শাহিন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি তাঁদের প্রায় ৬০ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং পানির সহজলভ্যতা না থাকায় উদ্ধার তৎপরতা চালানোয় বেশ বেগ পেতে হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এলাকার মৃত রবিউলের স্ত্রী জাহেদা বেগমের (৫৫) ঘরে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। যা মূহূর্তে পাশের কায়সারের বাসাসহ দুইটি গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে। ওই গোডাউনের একটিতে রং, তারপিনসহ বিভিন্ন হার্ডওয়ার সামগ্রী আর অন্যটিতে প্লাস্টিক পাইপসহ সেনেটারী পন্য ছিল। এসব দাহ্য পদার্থের কারণে আগুন ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
আগুনে ৪ টি বাড়ির আসবাবপত্র সহ সম্পূর্ণঘর পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী। আর সৈয়দপুর হার্ডওয়ার ও আজমেরী এন্টার প্রাইজের গোডাউনের প্রায় ৭০-৮০ লাখ টাকার মালামাল পুড়েছে। সেইসাথে রেলওয়ের কোয়াটারের দরজা, জানালা, চালের টিন-কাঠসহ অবকাঠামোর ক্ষতি হিসেব করলে আরও প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষতির পরিমান দাঁড়াবে। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেসন অফিসার খুরশিদ আলম জানান, খবর পেয়ে সৈয়দপুর, তারাগঞ্জ ও নীলফামারী উত্তরা ইপিজেড দমকল বাহিনী ঘটনাস্থল পৌঁছে। তিনটি ইউনিট প্রায় দুইঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুনের তীব্রতা বেশি হয়। একারণে সময় অনেক বেশি লেগেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে নিরুপনের চেষ্টা চলছে।
এদিকে শনিবার সকালে সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শাড়ি, লুঙ্গি, কম্বল ও চালসহ শুকনা খাবার বিতরণ করেছেন। এসময় তিনি আশ্বাস দেন যে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় বই সরবরাহ সহ স্কুল-কলেজের বেতন ফ্রি করা হবে, উপজেলা এবং জেলা পরিষদ থেকে নগদ অর্থ বা টিনসহ ত্রাণ সামগ্রী প্রদানের ব্যাবস্থা করা হবে।