• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৩-৬-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:৫৩

সৈয়দপুরের গোলাহাট গণহত্যা দিবসে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি



সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ►

আজ ১৩ জুন নীলফামারীর সৈয়দপুরের ঐতিহাসিক গোলাহাট ট্রাজেডি দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নিরাপদে ভারতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে বিশেষ ট্রেনে তুলে পথিমধ্যে আটকিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪৪৮ জন নারী-পুরুষ ও শিশুকে গলা কেটে হত্যা করে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা।

সেই শোকাবহ দিনে হত্যাযজ্ঞের স্থানে নির্মিত বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকা থেকে আসা মুক্তিযুদ্ধকালে পাকবাহিনীর পরিকল্পিত গণহত্যায় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করা সংগঠন আমরা ৭১'। পরে 'সৈয়দপুরে পরিকল্পিত গণহত্যার ৫২ বছর' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকালে এসব কার্যক্রম আয়োজন করা হয়। 

গোলাহাট বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আমরা ৭১ এর প্রধান সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক হেলাল ফয়েজী। 

উত্তরবঙ্গের জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা আব্রাহিম লিংকনের সঞ্চালনায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন আমরা ৭১ এর সমন্বয়ক ও বাসসের বিশেষ সংবাদদাতা মাহমুদা জেসমিন, চট্টগ্রামের শহীদ সন্তান ও জেনোসাইড বিশেষজ্ঞ প্রদীপ কুমার দত্ত, কুড়িগ্রাম ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক কবি জ্যোতি রহমান, গোলাহাট ট্রেন হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে যাওয়া প্রত্যক্ষদর্শী তপন কুমার দাস, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সন্তান সাংবাদিক এম আর আলম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে আমরা ৭১ এর প্রধান সমন্বয়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক হেলাল ফয়েজী বলেন, গোলাহাট বধ্যভূমিটি হচ্ছে ৭১ এর নির্মমতার সাক্ষী। সৈয়দপুরের হিন্দু মাড়োয়ারীদের ট্রেনে তুলে নিরাপদে ভারতে পৌছে দেওয়ার কথা বলে গোলাহাটে নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।

তিনি বলেন, আমাদের সংগঠন জেনোসাইডের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির জন্য দেশে-বিদেশে কাজ করছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়কে উদ্দেশ্য করে বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের নাম তালিকাভূক্ত করতে দ্রুত কাজ করতে হবে। সৈয়দপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য শহীদ ডা. জিকরুল হকের নামে সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামকরণের দাবি জানান তিনি। 

এর আগে আম ৭১ এর সদস্যরা গোলাহাট বধ্যভূমিতে পুষ্মাল্য অর্পণ করেন ও শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। পরে প্রতিনিধি দলটি সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় স্থাপিত অদম্য স্বাধীনতায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। এই দলটি গোলাহাট বধ্যভূমিসহ সারাদেশের বধ্যভুমিরগুলোর মাটি নিয়ে উত্তরবঙ্গ জাদুঘরে একটি মানচিত্র তৈরি করা হবে বলে জানান।