- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২৯-১০-২০২২, সময়ঃ দুপুর ০২:৪২
লোকালয়ে মুুখপোড়া হনুমানের আবির্ভাব! হনুমানের পিছুু ছুটছেন কৌতূহলী মানুষ
ধীমান চন্দ্র সাহা, ফুলবাড়ী ►
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে লোকালয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট মুখপোড়া হনুমান। বড় গাছে, বাড়ী বা প্রতিষ্ঠানের সীমানা প্রাচীরের ওপরে ও ঘরের চালে দেখা যাচ্ছে হনুমানটিকে। যেখানে যাচ্ছে হনুমানটি সেখানেই ভিড় জমছে কৌতূহলী এলাকাবাসীর। দিচ্ছেন পাউরুটি, ফলসহ নানান খাবার।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলা পরিষদ রোডস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ইন্সটিটিউটের সড়ক সংলগ্ন সীমানা প্রাচীরে হনুমানটির দেখা মিলে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রাচীরে অবস্থানকালে অনেকে পাউরুটি ও কলাসহ নানান খাবার দিয়েছেন। হনুমানটি সেসব খাবার সানন্দেই গ্রহণ করছে। পরে সেখান থেকে ছুটছে কখনো বিল্ডিংয়ের ছাদে, কখনো গাছের মগডালে এবং কখনো বাড়ির ছাদে, আবার কারো টিনের চালে। হনুমানটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষও ছুটছে পিছুপিছু। মানুষ দেখে হনুমানও অস্থিরতাবোধ করছে।
জানা যায়, কেউ বিরক্ত করলে মুখে ভেংচি কেটে ভয় দেখায় হনুমানটি। ইতোপূর্বে উপজেলার বেতদীঘি ইউনিয়নের মেলাবাড়ী পরবর্তীতে খয়েরবাড়ী ইউনিয়নের লালপুরে এবং বর্তমানে পৌরএলাকায় দেখা যাচ্ছে হনুমানটিকে। তবে বন্যপ্রাণি লোকালয়ে নয়, সংরক্ষণের দাবি সচেতন মহলের।
উপজেলা পরিষদ সড়কের মমতা ফটো স্টুডিও’র স্বত্ত্বাধিকারী মো. খালেকুজ্জামান খালেক বলেন, ‘হঠাৎ করেই সকালে উপজেলা পরিষদ রোডস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমান ইন্সটিটিউটের সড়ক সংলগ্ন সীমানা প্রাচীরে দেখা যায় হনুমানটিকে। এটি একটি মুখপোড়া হনুমান। উৎসুক মানুষ এদের কলা, পাউরুটি, বিস্কুটসহ নানা খাবার খেতে দিয়েছে। হনুমানটির মধ্যে শান্ত ভাব আছে। কারো কোনো তি করেনি। খাবার খেয়ে সে এক গাছ থেকে অন্য গাছে চলে গেছে। পরে আর দেখা মিলেনি।’
হনুমানটি প্রথমবারের মতো দেখা শিশু রুপ গুপ্তা, আনুশিকা রায়, দেব গুপ্ত পাগলু ও আরশি রায় বলে, ‘আমাদের বাগান বাড়িতে হঠাৎ একটি হনুমান দেখা যায়। এটি দেখতে বহুমানুষ আসে। আমরা প্রথমবারের মতো এতো কাছ থেকে হনুমান দেখেছি। আগে চিরিয়াখানায় দেখেছিলাম কিন্তু আজ সামনাসামনি বাড়ির পাশেই দেখলাম। প্রথমে ভয়ে কেউ কাছে যাচ্ছিলাম না কিন্তু পরে খাবার নিয়ে গেলে হনুমানটি এসে হাত থেকে খাবার নিয়ে গেছে।’
মধ্যপাড়া বন্যপ্রাণি ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আব্দুল হাই বলেন, ‘দলছুট হয়ে লোকালয়ে আসা হনুমানকে এলাকাবাসী যেন কোনো তি বা বিরক্ত না করেন, সে বিষয়ে সবার সচেতনতা দরকার। কিছুদিন পর আবার সে তার এলাকায় ফিরে যাবে। যদি লোকালয়ে হনুমানের জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তবে এটি ধরে বনাঞ্চল ছেড়ে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।’