• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৪-১০-২০২২, সময়ঃ দুপুর ০১:৫০

বৃহস্পতিবার পায়রা বন্দরের ৮ জাহাজের উদ্বোধন 



মাধুকর ডেস্ক ►

পায়রা বন্দরে প্রথম টার্মিনাল, ৬ লেন সংযোগ সড়ক ও সেতু নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। সেইসঙ্গে বন্দরের ক্যাপিটাল ড্রেজিং কাজের ও আটটি জাহাজের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। আগামী ২৭ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এসব উন্নয়নকাজের উদ্বোধন করবেন।

এ উপলে আজ সোমবার পায়রা বন্দরের সভাকে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জানানো হয়, এসব উন্নয়নকাজের ফলে বন্দরটি পরিপূর্ণ সমতার সঙ্গে কাজ করতে পারবে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। এর সুফল বাঙালি জাতি যুগ যুগ ধরে ভোগ করবে। ইতোমধ্যে এই বন্দরে ২৩৬টি সমুদ্রগামী জাহাজ আগমন করেছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৫৪৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান মুহিব, পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম সোহায়েল, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. রফিকুল ইসলাম খান, পায়রা বন্দরের সদস্যত্রয় কমডোর মামুনুর রশীদ, কমডোর রাজীব ত্রিপুরা ও ক্যাপ্টেন এম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বন্দর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। দণিাঞ্চলের অবহেলিত জায়গা তুলে আনা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দর নির্মাণ করেন। তাঁর স্বপ্নের প্রকল্পের প্রতিটি জায়গায় তাঁকে সম্পৃক্ত করতে চাই। পায়রা বন্দরকে ঘিরে দণিাঞ্চলে জাগরিত অর্থনীতি দেখতে পাচ্ছি। 

সভায় জানানো হয়, পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের ফলে বন্দর থেকে সাগরের মধ্যে ৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ, ১০০-১২৫ মিটার প্রশস্ত, এবং ১০.৫ মিটার গভীরতার একটি চ্যানেল সৃষ্টি হবে। এতে বন্দরে ৪০ হাজার টন কার্গো বা ৩ হাজার কন্টেইনারবাহী জাহাজ ভিড়ানোর সমতা তৈরি হবে। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য ব্যয় হবে ৪ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। বিশ্বখ্যাত বেলজিয়ামভিত্তিক ড্রেজিং কোম্পানি জান ডি নুল ড্রেজিং কাজটি করবে।

দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন-বহির্গমন ও চ্যানেলের সংরণ কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হবে পায়রা বন্দরের জন্য নির্মিত আটটি জাহাজ। এর মধ্যে দুটি পাইলট ভেসেল, দুটি হেভি ডিউটি স্পিডবোট, একটি বয়া লেইং ভেসেল, একটি সার্ভে বোট এবং দুটি টাগবোট। 

পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল, ৬-লেন সংযোগ সড়ক এবং সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হলে টার্মিনালটির তিনটি জেটিতে একত্রে তিনটি বিদেশি কন্টেইনার বা বাল্ক কার্গোবাহী জাহাজ এসে ভিড়তে সম হবে। বন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণে ব্যয় হবে ৪৫১৬.৭৫ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে অপারেশনাল কাজ শুরু করা হবে। 

৬.৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ৬-লেনের সংযোগ সড়কটি ডিপিপি-এর সংস্থান অনুযায়ী ডিপোজিটরি ওয়ার্কের আওতায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডকে নিয়োগ করা হয়েছে। কাজের চুক্তি মূল্য ৬৫৫.৫০ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ হবে। পায়রা বন্দর কর্তৃপরে মালামাল পরিবহনের জন্য আন্দারমানিক নদীর ওপর ১ হাজার ১৮০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কাজের প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৪০ কোটি টাকা। কাজটি নির্মাণ করতে আনুমানিক ৩০ মাস সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর পায়রা সমুদ্রবন্দর উদ্বোধন করেন।