- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২-৩-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৫:৩৩
বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে টানেল নির্মাণের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক►
ব্রহ্মপুত্র নদে বালাসী থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণের দাবিতে আজ শনিবার (২ মার্চ) গাইবান্ধা শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদে টানেল নির্মাণ বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটি, গাইবান্ধা এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাড. আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন আমিনুল ইসলাম গোলাপ, অ্যাড. মোস্তফা মনিরুজ্জামান, মনজুর আলম মিঠু, গোলাম রব্বানী, মো. ইলিয়াস হোসেন, আতোয়ার রহমান, তাজুল ইসলাম বকুল, হাফিজার রহমান, রেজাইউল করিম, অ্যাড. ফরহাদ হোসেন, অ্যাড. ইমরান, অ্যাড. সালমান মাহমুদ নয়ন, মিজানুর রাহমান মাষ্টার, আব্দুল হালিম, নাদিম হোসেন, মো. ফরহাদ মিয়া, জিন্নু মিয়া প্রমুখ। সাধারণ সভাটি পরিচালনা করেন কমিটির সাধারণ স¤পাদক জে এইচ মুজকুরি অনু।
বক্তারা বলেন, জামালপুর জেলার সহিত গাইবান্ধা জেলার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা একমাত্র টানেল নির্মাণের মাধ্যমেই সম্ভব। টানেল নির্মাণের মাধ্যমে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হলে জেলায় শিল্প কলকারখানা ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। টানেল নির্মাণকালে নদী শাসনের মাধ্যমে চরাঞ্চলের ব্যাপক অনাবাদি জমি কৃষি জমিতে পরিণত হবে। বন্যার হাত থেকে এলাকাবাসী স্থায়ীভাবে রক্ষা পাবে।
বক্তারা আরও বলেন, রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা লালমনিরহাট, নীলফামারি, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ, দিনাজপুর, জয়পুরহাট সহ জামালপুর জেলার টানেল নির্মাণের মাধ্যমে হিলি স্থহলবন্দর, সোনাহাট স্থল বন্দর, চিলাহাট স্থল বন্দর, সিলেট ও চট্টগ্রাম জেলার মত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হবে ও পণ্য পরিবহন খরচ কম হবে। গাইবান্ধা জেলা উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলির মধ্যে গেট ওয়ে শহরে পরিণত হবে। টানেল নির্মাণের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের শিল্প ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণ সম্ভব হবে।
- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২৭-৯-২০২৫, সময়ঃ বিকাল ০৪:৩৬
বালাসী-বাহাদুরাবাদ রুটে টানেল নির্মাণের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ রুটে ব্রহ্মপুত্র নদে টানেল নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
‘ব্রহ্মপুত্র নদে বালাসী থেকে বাহাদুরাবাদ পর্যন্ত টানেল নির্মাণ/বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় কমিটি, গাইবান্ধা’ নামে একটি সংগঠন এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সংগঠনের সভাপতি অ্যাড আশরাফ আলীর সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি অ্যাড মোস্তফা মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জে এইচ মজকুরী অনু, সহ-সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, আব্দুল মোতালেব মন্ডল, বাসদ জেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী, গণফোরাম জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, বাসদ মার্কসবাদী জেলা সদস্য কাজী আবু রায়হেন শফিউল্লাহ খোকন, সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সদস্য সবুজ মিয়া, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ফিরোজ কবির, দপ্তর সম্পাদক শাহ্ কামাল, যুব সম্পাদক জুয়েল মিয়া, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, মোঃ আজিজার রহমান মাষ্টার প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদে বালাসী-বাহাদুরাবাদ টানেল নির্মাণের দাবি গাইবান্ধাবাসীর দীর্ঘদিনের। এই টানেল নির্মিত হলে রংপুর বিভাগের আট জেলার মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে। উত্তরবঙ্গ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ হবে। এই টানেল বাস্তবায়নের জন্য দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে টানেল বাস্তবায়ন কমিটি।
বক্তারা আরও বলেন, গাইবান্ধাবাসী বৈষম্যের স্বীকার। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে উন্নয়নের দিক থেকে গাইবান্ধা জেলা সবচেয়ে পিছিয়ে। আমাদের সন্তানেরা বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ দেখার জন্য গুলির সামনে বুক পেতে দিয়েছিল। আমরা সেই বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই। গাইবান্ধা জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনেরও দাবী জানান তারা।
বক্তারা বলেন, রাজনীতিকদের কূপমন্ডুকতায় নূর হোসেন, আবু সাঈদরা বারবার জীবন দিয়েও বদলাতে পারেননি বৈষম্যের বাংলাদেশকে। ব্রহ্মপুত্র নদে বালাসী-বাহাদুরাবাদ টানেল বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন বক্তারা।