- মাধুকর প্রতিনিধি
- তারিখঃ ২-৪-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:৫০
নেপাল চলচ্চিত্র উৎসবে দেশের দুটি পুরস্কার অর্জন
বিনোদন ডেস্ক►
নেপালে অনুষ্ঠিত ‘পঞ্চম নেপাল কালচারাল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ শ্রেষ্ঠ আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্মের পুরস্কার পেল প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল অভিনীত সিনেমা ‘প্রিয় সত্যজিৎ’। এই সিনেমাটি নির্মাতা করেছেন প্রসূন রহমান। অন্যদিকে, একই উৎসবে শিশুশিল্পীর পুরস্কার পেল বাংলাদেশের শিশুশিল্পী আতিকুর রহমান শিহান।
আন্তর্জাতিক বিভাগে পাশা মোস্তফা কামালের কাহিনি অবলম্বনে শায়লা রহমান তিথির পরিচালনায় ‘যুদ্ধজয়ের কিশোর নায়ক’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য এই পুরস্কার পেয়েছে শিহান।
প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল চেয়েছিলেন তার অভিনীত ‘সেরা সত্যজিৎ’ সিনেমাটি সমাদৃত হোক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। সেই ইচ্ছা পূরণ হলেও সেটি দেখে যাওয়া হল না এই অভিনেতার। প্রসূন রহমান পুরস্কারটি উৎসর্গ করেছেন আহমেদ রুবেলকে।
তিন দিনের এ উৎসব শেষ হয় রোববার। কাঠমান্ডুর ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট বোর্ড মিলনায়তনে উৎসবের শেষ দিনের সমাপনী সন্ধ্যায় প্রসূনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কারপ্রাপ্তির এই খবর নির্মাতা তার ফেইসবুকে জানিয়েছেন। সিনেমাটির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।
অপর দিকে ‘যুদ্ধ জয়ের কিশোর নায়ক’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পরিচালক শায়লা রহমান তিথি জানান, ‘২য় বারের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করলো সরকারি অনুদানে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘যুদ্ধজয়ের কিশোর নায়ক’।
আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত। এটা আমাদের পুরো টিমের জন্য এবং বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের একটি বিষয়।’
এছাড়া তিনি শিশুশিল্পী আতিকুর রহমান শিহানকে অভিনন্দন জানান সেরা শিশুশিল্পীর পুরস্কারটি অর্জন করার জন্য। ছবিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- গোলাম ফরিদা ছন্দা, মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, শাশ্বত স্বপন, নাজমুল হক বাবু, শেখ আনিসুর রহমান আনিস, মোহনা হোসাইন, সাবিকুন্নাহার কাকন, শফিকুল ইসলাম ইমরান, তৌফিক বুলেট, নুপুর হোসাইন রাণী, শিশুশিল্পী শ্রীময়ী শ্রেষ্ঠা রায় প্রমুখ।
এদিকে সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত সিনেমাটি নিয়ে প্রসূন এর আগে বলেছিলেন, “এটি সিনেমার অন্তর্জগৎ নিয়ে তৈরি একটি চলচ্চিত্র। পরবর্তী প্রজন্মের নির্মাতাদের ওপর সত্যজিৎ রায়ের প্রভাব এবং কিংবদন্তি এই নির্মাতার প্রতি অনুজদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানানোর গল্প।“
কিশোরগঞ্জের মসূয়ায় সত্যজিৎ রায়ের দাদা উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর বাড়িসহ আরও কয়েকটি এলাকা ও পুরান ঢাকার একটি বাড়িতে শুটিং হয়েছে। রুবেল ও মৌটুসী ছাড়াও সাঈদ বাবু, সঙ্গীতা চৌধুরী, লাবণ্য চৌধুরী, এহসানুল হক, নুসরাত জাহান নদী, পংকজ মজুমদারসহ অনেকে কাজ করেছেন।