• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২২-৫-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:৪০

ঘোড়াঘাট উপজেলা হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ৮ বছর থেকে অচল, অন্যটি চালায় বাগানের মালি



আবু বককর সিদ্দিক, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) ►

উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর দিনাজপুরের প্রত্যন্ত ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে দেড় লাখ মানুষের চলছে চিকিৎসা সেবা। জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এই উপজেলার নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের ।

বৃহৎ জনগোষ্ঠীর মানুষের জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে একটি অ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ হাসপাতালে একটি টিনের চালায় অচল অবস্থায় পড়ে আছে । হাসপাতালের মালিকে দিয়ে চালানো হচ্ছে চালকের কাজ। জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ঘোড়াঘাট উপজেলা দুরত্ব প্রায় ৯৫ কিলোমিটার ঘোড়াঘাট উপজেলায় রয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতাল।

৫০ শয্যা বিশিষ্টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতাল থাকলেও জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিতে যেতে হয় জেলা সদর দিনাজপুর হাসপাতালে। সেখানে রয়েছে আধুুুুনিক ও উন্নতমানের এম.আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দুরত্ব ও যাতায়াত খরচ বেশি হওয়ায় তারা ছুটে যায় পাশ্ববর্তী রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে রংপুর ও বগুড়া জেলার এই দুটি মেডিকেল কলেজের দুরত্ব ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। বৃহৎ জনগোষ্ঠীর এই মানুষ গুলোর জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে মাত্র দুটি। এর মধ্যে যান্ত্রিক ত্রুটি সহ নানা কারণে একটি অ্যাম্বুলেন্স গত ৮ বছর থেকে দুটি টিনের চালার নিচে নিজেই রোগী হয়ে অচল অবস্থায় পড়ে আছে। বাকি সচল থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের আবার নেই চালক।

চালক না থাকায় হাসপাতালের মালি অ্যাম্বুলেন্সটির চালক হিসেবে কাজ করছে।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যানুযায়ী জানা গেছে,এই হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ২৫০ থেকে ৩০০ জন রোগী সেবা নিতে আসেন। তার মধ্যে শিশু ও মহিলা রোগীর সংখ্যাই বেশি। অপরদিকে হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮ জন মুমুর্ষ রোগীর অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন পড়ে।

তবে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স থাকায় রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে পারছেন না হাসপাতাল কতৃপক্ষ। ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আমি কিছুদিন আগে এখানে যোগদান করেছি। সচল থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক কিছু ত্রুটির মেরামত এবং নতুন আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত করার জন্য সিভিল সার্জনকে আমি জানিয়েছি।

অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি এসব অ্যাম্বুলেন্স রক্ষনাবেক্ষণের জন্য সরকারী বরাদ্দের বিষয় রয়েছে। এছাড়াও আমাদের চালক সংকট। পূর্বে আমাদের দুজন চালক ছিলেন। তারমধ্যে একজনের অন্যত্র বদলী হয়েছে। অপর একজন মামলা সংক্রান্ত সমস্যায় বরখাস্ত হয়ে আছেন। বর্তমানে হাসপাতালের মালি সচল ওই একটি অ্যাম্বুলেন্সের চালক হিসেবে কাজ করছেন।