• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৬-৫-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:৩৫

কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চীনে পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক►

কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর করতে চীন গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে পৌঁছান তিনি। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, পঞ্চম দফায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই পুতিনের প্রথম বিদেশ সফর। সফরকালে পুতিন আজ চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সামনাসামনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসবেন। দুই দেশের সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উদ্‌যাপন করবেন তাঁরা। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও এদিন দেখা করবেন পুতিন। আগামীকাল শুক্রবার চীনের ঐতিহাসিক শহর হারবিনে দুটি দ্বিপক্ষীয় ব্যবসায়িক সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে পুতিনের। সেই সঙ্গে সেখানে একটি বরফ উৎসবেও যোগ দেবেন তিনি। ১৯৪৬ সালে হারবিনের স্বাধীনতার সময় প্রাণ হারানো সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সেনাদের স্মরণে নির্মিত একটি স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন পুতিন।

ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়াকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে চীন।এ পরিস্থিতিতে পুতিন ও জিনপিংয়ের মধ্যকার বৈঠকের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পশ্চিমা বিশ্ব। ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুদ্ধকালীন রুশ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বড় ধরনের সমর্থন আদায়ের জন্য পুতিন চীন গেছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। 

পুতিনের চীন সফর নিয়ে রুশ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ কনস্ট্যান্টিন কালাচেভ বলেন, নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এটি পুতিনের প্রথম সফর। চীন-রাশিয়ান সম্পর্ক যে অন্য স্তরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেটি দেখানোর জন্যই এই সফর। 

রুশ সম্প্রচারমাধ্যমের প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, পুতিন বেইজিংয়ে নামার পর তাঁকে স্বাগত জানান চীনা কর্মকর্তারা। এসময় গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

জলবায়ু সম্মেলনেও বাইডেনের তোপে চীন ও রাশিয়াজলবায়ু সম্মেলনেও বাইডেনের তোপে চীন ও রাশিয়া

এর আগে চীনা সংবাদমাধ্যম শিনহুয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন জানান, ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির জন্য চীনের পরিকল্পনায় সায় রয়েছে তাঁর। রুশ প্রেসিডেন্টের মতে, বেইজিং এই সংকটের পেছনের কারণ ভালো বোঝে। 

গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ১২ দফা প্রস্তাব দেয় চীন। তখন এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানায় রাশিয়া ও ইউক্রেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র তখন অভিযোগ করে যে, চীন নিজেকে শান্তিস্থাপনকারী হিসেবে উপস্থাপন করছে। কিন্তু তাদের প্রস্তাবে রাশিয়ার মিথ্যা বর্ণনা প্রতিফলিত হয়েছে। 

সবচেয়ে বড় আকারে অস্ত্র উৎপাদনে রাশিয়া, সহায়তায় চীনসবচেয়ে বড় আকারে অস্ত্র উৎপাদনে রাশিয়া, সহায়তায় চীন

রাশিয়ার দাবি, তারা ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একটি বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমারা বলছে, রাশিয়ার এই ফ্যাসিবাদী অভিযোগ ভিত্তিহীন।