• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৫-১২-২০২২, সময়ঃ সকাল ০৯:১৩

আজ শুভ বড়দিন 



মাধুকর ডেস্ক ►

খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ রোববার। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট ২৫ডিসেম্বর বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেন। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা এ দিনটিকে ‘শুভ বড়দিন’ হিসেবে উদযাপন করে থাকেন। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টি-কর্তার মহিমা প্রচারের মাধ্যমে মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতেই প্রভু যিশুর পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিল।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের খ্রিস্টধর্মানুসারীরাও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য্য ও আচারাদি, আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্যদিয়ে ‘শুভ বড়দিন’ উদযাপন করবেন। এ উপলে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গির্জাগুলোকে সাজানো হয়েছে নতুন-আঙ্গিকে। এছাড়াও গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন গির্জা এবং তারকা-হেটেলগুলোতে ব্যবস্থা করা হয়েছে আলোক সজ্জার।

এদিকে বড়দিন উপলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিস্টধর্মাবলম্বীসহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, জাগতিক সুখের পরিবর্তে যীশুখ্রিষ্ট ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পারমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ এ কথা উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আবহমানকাল থেকে এদেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি স্বাধীনভাবে পালন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, সকল শ্রেণি-পেশা, সম্প্রদায়ের জনগণের উন্নয়নই সরকারের প্রধান ল্য। এ ল্য অর্জনে তার সরকার সকল সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।

আমরা বিশ্বাস করি- ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। বড়দিন উপলে রোববার সরকারি ছুটি। অপরদিকে দিনটি উপলে অনেক খ্রিষ্টান পরিবারে কেক তৈরি করা হবে, থাকবে বিশেষ খাবারের আয়োজন।

এছাড়াও দেশের অনেক অঞ্চলে আয়োজন করা হযেছে কীর্তনের পাশাপাশি ধর্মীয় গানের আসর। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য বড়দিনকে বেছে নেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে অনেকেই রাজধানী ছেড়ে গিয়েছেন গ্রামের বাড়িতে।

রাজধানীর তারকা হোটেলগুলোতে আরোক সজ্জার পাশাপাশি হোটেলের ভিতরে কৃত্রিমভাবে স্থাপন করা হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি ও শান্তাকজ। বড়দিনের প্রক্কালে গতকাল শনিবার রাতে বিভিন্ন গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও অনুষ্ঠিত হবে। আর রোববার সকাল থেকে শুরু হবে বড়দিনের প্রার্থনা।

  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৫-১২-২০২৪, সময়ঃ সকাল ১০:৩২

আজ শুভ বড়দিন



মাধুকর ডেস্ক►

বিশ্বের নানা প্রান্তেই চলছে যুদ্ধবিগ্রহ, অশান্তি। বাংলাদেশও পার করেছে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি। যুদ্ধ, অশান্তি থেকে মানবজাতির মধ্যে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে পৃথিবীতে আসেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীরা এই বিশ্বাস নিয়ে আজ আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে উদ্যাপন করছেন বড়দিন।

আজ ২৫ ডিসেম্বর, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। বাংলাদেশে এই উৎসব বড়দিন (ক্রিসমাস ডে) নামে পরিচিত।

দুই হাজার ২৪ বছর আগে এই দিনে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট। বর্তমান ফিলিস্তিনের বেথলেহেমে কুমারী মাতার গর্ভে জন্ম নেন তিনি। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের মতে তিনি ঈশ্বরের পুত্র। পৃথিবীতে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়া, মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করা এবং সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার করতে প্রভু যিশুর এ ধরায় আগমন ঘটেছিল।

সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টধর্মের মানুষেরাও ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে দিনটি উদ্যাপন করবেন।

দেশের সব গির্জাসহ খ্রিষ্টান পরিবারগুলো ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে, কেক তৈরি করে এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে বড়দিন উদযাপন করবেন। সান্তা ক্লজ শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণের মাধ্যমে আনন্দে ভরিয়ে তুলবেন দিনটি। বড়দিন উপলক্ষে সারাদেশে সব ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।