• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৫-৫-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:০৫
  • ১০৭ বার দেখা হয়েছে

ভারতের নাটক ‘ঘরে ফেরা’ প্রদর্শিত হলো গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে

ভারতের নাটক ‘ঘরে ফেরা’ প্রদর্শিত হলো গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে

মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু ►

ভারতের মুর্শিদাবাদ থেকে আগত রঘুনাথগঞ্জ থিয়েটার গ্রুপের পরিবেশনায় নাটক ‘ঘরে ফেরা’ বুধবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের চল্লিশ বছর  পূর্তির বছরব্যাপী উৎসবের অংশ হিসেবে গাইবান্ধা জেলার দারিয়াপুরের সারথি থিয়েটার এবং পলাশবাড়ী উপজেলার স্বাধীন বাংলা নাট্য সংস্থার আয়োজনে স্বপন দাসের রচনা ও নির্দেশনায় মনোমুগ্ধকর ও শিক্ষণীয় একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের মেসেজ নিয়ে পরিবেশিত হলো ‘ঘরে ফেরা’ নাটক। 

নাটকের কাহিনী, চরিত্র ও সংলাপ ছিলো এক কথায় অসাধারণ। কার্তিক আর জসীমুদ্দিন একই গ্রামের ভিন্ন সম্প্রদায়ের দুজন মানুষ। উভয়েই গ্রামের প্রভাবশালী জমিদারের কাছে ঋণদায়গ্রস্ত। জমিদারবাবুর আসল নজর ছিলো ওদের ভিটে-মাটির দিকে। উদ্দেশ্য সফল করতে কার্তিক ও জসীমুদ্দিনকে পরস্পরের বিরুদ্ধে প্ররোচনা দেন এবং সেই সাথে ওরা জমিদারবাবুর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দেয় বন্ধকি ভিটে-মাটি ফেরত পাবার আশায়। কার্তিক ও জসীমুদ্দিন একে অপরের ভিটে-মাটিতে আগুন লাগায়। জমিদার বাবুর কাছে জমি ফেরত চাইলে তিনি ওদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে তাদের ভিটে-মাটি ছাড়া করেন এবং জমিদার তাদের জমি নিজের দখলে আনেন। 

দীর্ঘদিন পরে কার্তিক ও জসীমুদ্দিনের ঘরে ফেরার পালা। কাকতালিয়ভাবে তারা একই বাস স্টপে এসে বাস মিস করেন। কার্তিকের সাথে আছে তার স্ত্রী কুসুম। তাদের কথোপকথনের মাধ্যমে কার্তিক ও জসীমুদ্দিন একে অপরকে চিনে ফেলে। সাময়িকভাবে তাদের মধ্যে প্রতিশোধের স্পৃহা জেগে উঠলেও ওরা বুঝতে পারে যে ওরা উভয়েই ষড়যন্ত্রের শিকার। এদিকে কুসুম অন্তঃস্বত্বা। তাইতো কার্তিকের মন খুশিতে ডগো ডগো এবং একপর্যায়ে কার্তিকের সেই খুশির সাথে জসীমুদ্দিনও সামিল হন। মুছে যায় তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ ও তারা নতুনভাবে বেঁচে থাকবার স্বপ্ন দেখেন।

ওরা আবারও স্বপ্ন দেখে সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার। এখন শুধুই অপেক্ষা তাদের ঘেের ফেরার। এভাবেই নাটকের কাহিনীর সাথে নামকরণের অসাধারণ মিল যা দর্শকরাও আনন্দ পেয়েছেন এবং বর্তমান সমাজে শিক্ষণীয় বলে অনেক দর্শক মন্তব্য করেছেন। মাত্র তিনজনের অভিনয়ে অভিনয় করেছেন-সোমা গোস্বামী, অজিত সরকার ও রমেন্দ্রনাথ।

নাটক শেষে বক্তব্য দেন-জেলা শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক প্রমতোষ সাহা, কালচারাল অফিসার আলমগীর কবির, সারথি থিয়েটারের প্রধান সম্পাদক জুলফিকার চঞ্চল, রঘুনাথগঞ্জ থিয়েটার গ্রুপের সভাপতি রেজাউল করিম, ঘাগোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুজ্জামান রিংকু, সারথি থিয়েটারের সাংগঠনিক সম্পাদক বীথি সরকার ও স্বাধীন-পলাশ নাট্য সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নুর মহব্বত। 
 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়